সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ভারত এবং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘন্টা বৈঠক চলল মস্কোতে। কিন্তু সমাধান সূত্র এখনও অধরা। উভয়পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে যায়, অন্তত শনিবার যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় সেখানে এমনটাই মনে হয়েছে।
বৈঠকে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, "চিনের বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা, আক্রমণাত্মক আচরণ, একতরফা স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করানো উভয়দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল এবং দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।"
অন্যদিকে, চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই বলেন যে সীমান্তে "এই উত্তেজনার দায় সম্পূর্ণ ভারতের"। তবে জুলাইয়ের পর থেকে সেনা সরানোর যে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের সেনা আধিকারিক এবং কূটনীতিকদের মধ্যে যে আলোচনা হয় তার কোনও অগ্রসর হয়নি এই বৈঠকেও। এদিকে এখনও উত্তপ্ত রয়েছে প্যাংগং এলাকা।
আরও পড়ুন, চিনা সেনার বিরুদ্ধে অরুণাচলের ৫ বাসিন্দাকে অপহরণের অভিযোগ, তদন্ত শুরু
রাজনাথ সিংয়ের মন্ত্রকের তরফে সাফ বলা হয়েছে, "ভারতীয় সেনারা সীম্নাত ব্যবস্থার প্রতি সর্বদা তাঁদের দায়িত্বশীল পন্থা অবলম্বন করে গিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য সংকল্পে দৃঢ় ছিল।"
চিনের বিবৃতি অনুসারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই বলেন, “উভয় পক্ষের উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে যে ঐক্যমত হয় তা অবিচ্ছিন্নভাবে কার্যকর করা। আলোচনার ও পরামর্শের মাধ্যমে বিষয়গুলি সমাধান করা। বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি কঠোরভাবে অনুসরণ করা। পরিস্থিতিতে অশান্ত করতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন