ভারত এবং মায়ানমার, দু’দেশের সীমান্ত এলাকাতেই রয়েছে উগ্রপন্থীদের ঘাঁটি। তা নির্মূল করতে এবার দু’দেশ হাতে হাত মিলিয়ে এক সামরিক অভিযান করল। মায়ানমারের সীমানার মধ্যেই বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি ইতিমধ্যে ধ্বংস করা হয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতেরই নিজেদের ভিত গড়ে তুলেছিল ওই সমস্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী।
চলতি বছরের ১৬ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত চলা সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সানশাইন-২’। ভারতীয় সেনার দুটি দল এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল। এর আগে চলতি বছরেই ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়েছিল ‘অপারেশন সানশাইন-১’ অভিযান। বেশ কিছু আরাকানিকে সে সময় আটক করেছিল মায়ানমার সেনা।
আরও পড়ুন, ঝাড়খন্ডে মাওবাদী হামলায় নিহত পাঁচ পুলিশকর্মী
দু’দেশের যৌথ অভিযান সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারত সরকারের এক আধিকারিক। সানডে এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, “দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একটা বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হওয়ায় এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে”।
‘অপারেশন সানশাইন-২’ তে যে ৭০-৮০জন সন্দেজভাজন জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে, তাদের মায়ানমারের স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর বলছে, এনএসসিএন-কে, এনডিএফবি, আলফা, কেএলও এবং এনইএফটি সহ বেশ কিছু গোষ্ঠীর জঙ্গি শিবির ধ্বংস করা হয়েছে।

মায়ানমার সেনা দাবি করেছে সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে দু’দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও মাস তিনেক সেনা জওয়ানদের বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ওই অঞ্চলে বর্ষার সুযোগ নিয়ে নতুন করে যাতে জঙ্গি গোষ্ঠী সংগঠিত হতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা। বর্ষার সময় সেনাদের সীমান্তে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ ও অন্যান্য কাজে ভারত মায়ানমারকে সাহায্য করছে বলেই খবর।
Read the full story in English