করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে অক্সিজেন সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিলো গোটা দেশ। রোগীদের অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। তারপরই জরুরি ভিততিতে পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। অক্সিজেন প্লান্ট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে রেল পথে অক্সিজেন করিডরের বন্দোবস্ত করা হয়। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রবিবার 'মন কি বাতে' সেকথাই তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, আগের তুলনায় দেশে মেডিক্যাল অক্সিজেনের পরিমান ১০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
Advertisment
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'সাধারণত ভারতে প্রত্যক দিন ৯০০ মেট্রিক টন লিকুইড অক্সিজেনের উৎপাদন হয়। কিন্তু এখন সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯,৫০০ মেট্রিক টন।' মোদীর দাবি, 'দেশে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। রেল অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু করেছে। এরফলে দেশের কোণায় কোণায় সহজে অক্সিজেন পৌঁছে যাচ্ছে। নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছে।'
পাশাপাশি সামনের সারিতে থাকা করোনাযোদ্ধাদের ঢালাও প্রশংসা করে নমো বলেন, 'ফ্রন্টলাইনাররা নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে সেনাবাহিনী। জল-স্থল-বায়ুসেনা একসঙ্গে কাজ করছে'। এদিনও তিনি বলেন, 'করোনার বিরুদ্ধে জিততে হলে সকলকে মাস্ক পরতে হবে, দুরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে।'
এই মহামারীতেও কৃষকরা রেকর্ড উৎপাদন করেছেন বলে মন্তব্য জানিয়েছেন মোদী। দেশ সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রে চলছে। দেশের সুরক্ষা নিয়েও কোনও সমঝোতা বরদাস্ত করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
প্রকৃতিক বিপর্যয় নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'সম্প্রতি দুটো সাইক্লোন আছড়ে পড়েছে। যার জেরে কয়েকটি রাজ্য ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার একসঙ্গে কাজ করে এই পরিস্থিতি সামলাবে। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের পাশে আছি।'