Advertisment

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তথ্যচিত্র বিবিসির, 'ঔপনিবেশিক মানসিকতা', অভিযোগ বিদেশ মন্ত্রকের

তথ্যচিত্রটির উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিবিসি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Gujarat riot

নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের ঘটনা।

গুজরাট দাঙ্গার ওপর বিবিসির তথ্যচিত্রে ক্ষুব্ধ ভারত। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটির অভিযোগ, গোটা তথ্যচিত্রটি আসলে প্রচারের অঙ্গ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই তথ্যচিত্রের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'এই তথ্যচিত্রে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি, ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রভাব রীতিমতো স্পষ্ট।'

Advertisment

গুজরাটে যখন দাঙ্গা হয়, সেই সময় নরেন্দ্র মোদী ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে সেই নরেন্দ্র মোদীই দেশের প্রধানমন্ত্রী। যাঁকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গুজরাট দাঙ্গার অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে ভারতের অভিযোগ, বিবিসির তথ্যচিত্র মোদী সরকারকে অসম্মানিত করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিবিসির এই তথ্যচিত্র ভারতে দেখানো হয়নি। তাই তাঁরা এই তথ্যচিত্রের ব্যাপারে আগে জানতেন না।

অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, এই তথ্যচিত্রে ভারতের প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের সম্পর্কে ইচ্ছেমতো বর্ণনা করা হয়েছে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের সম্পর্কে নিন্দে করা হয়েছে। যা রীতিমতো পক্ষপাতদুষ্ট। আর, সেই কারণেই বিদেশ মন্ত্রক এই তথ্যচিত্রের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান। পাশাপাশি, তথ্যচিত্রটিতে যা দেখানো হয়েছে, তাতে রীতিমতো হতবাক।

বিষয়টি আসলে ভারতের ব্যাপারে ভিনদেশের নাক গলানো বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। এমনিতে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে বারবার ভারতের বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রয়াস হয়েছে। বর্তমানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি সেদেশে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবেই পরিচিত। এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতির কন্যার সঙ্গে তিনি বিয়েও করেছেন। পাশাপাশি, হিন্দু ধর্মীয় আচরণও করে থাকেন সুনাক। তাঁর সঙ্গে মোদী সরকারের সম্পর্ক যথারীতি বেশ ভালো।

আরও পড়ুন- চিনের জনসংখ্যা হ্রাস: কেন ভারতের পরিস্থিতি আলাদা এবং সম্ভবত ভালো

তবে, এই তথ্যচিত্রটি ঋষি সুনাকের জমানায় তৈরি হয়নি। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। বরং, এটা আগে তৈরি করা হয়েছে। এই সময়ে তা প্রকাশ করা হল। বিভিন্ন মহলের দাবি, সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেই আরও কঠোর ভাষায় তথ্যচিত্রটির সমালোচনা করল না বিদেশ মন্ত্রক। না-হলে, ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূতের কাছেও প্রতিবাদ জানানোর প্রোটোকল মানা হত। কিন্তু, এক্ষেত্রে প্রতিবাদ স্রেফ তথ্যচিত্রটির বিরুদ্ধেই করতে চায় বিদেশ মন্ত্রক।

Read full story in English

Britain Modi Government documentary
Advertisment