করোনার টিকাকরণে আমেরিকাকে ছাপিয়ে গেল ভারত। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে টুইটে এই দাবি করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও, টিকার বন্টন ঘিরে বিস্তর অভিযোগ তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু, আমেরিকা ও ভারতের টিকাকরণের পরিসংখ্যানের তুলনা টেনে মোদী সরকারের বার্তা- টিকাকরণে ভারত এখন সর্বপ্রথম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আমেরিকায় করোনা টিকাকরণের হার ৩২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৩২৮ ডোজ। সেই সময়কালেই ভারতে একটি বা দু'টি ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯৭ জন। অর্থাৎ টিকাকরণের গতিতে গোটা বিশ্বে এখন শীর্ষে ভারত। একে 'মাইলফলক' সাফল্য হিসাবেই দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে যে, 'কোভিড-১৯ টিকাকরণে ভারত আরও একটি মাইলফলক অর্জন করেছে। আমেরিকায় এখন পর্যন্ত যে হারে টিকাকরণ হয়েছে তা ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত।'
২১ জুন ভারত দৈনিক টিকাকরণের হারে নজির স্থাপণ করেছিল। ওই দিন এদেশে টিকা পেয়েছিলেন ৮৬ লক্ষের বেশি মানুষ। যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপর দিনই অবশ্য টডিকাকরণের হার অনেকটা কমে গিয়েছিল। ফলে নজিরবিহীন টিকাকরণ নিয়ে মোদী সরকারকে বিদ্রুপ করেছিলেন কংগ্রেস সাসংদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। পাল্টা কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে টিকাকরণ শিবির পরিচালনা ও পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। এই তর্জার মাঝেও উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় যে গত কয়েকদিনে টিকাকরণের হার নিম্নমুখী। ২১ জুন ৮৬ লক্ষের বেশি টিকাকরণের পরদিন ২২ জুন ভারতে টিকা পেয়েছিলেন প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। রবিবার দৈনিক টিকাকরণের হার মাত্র ১৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৬৮ জন। তার মাঝেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এদিনের ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন- দেশে হাজারের নীচে নামল মৃত্যু পরিসংখ্যান, আক্রান্ত কমে ৪৬ হাজার
বিশ্বের পরিসংখ্যানের নিরিখে, আমেরিকায় ৪৬.৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের সম্পূর্ণ টিকাকরণ সম্পন্ন। অর্থাৎ এঁরা টিকার দু'টি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। সেখানে ১৩০ কোটির বেশি জনসংখ্যার ভারতে মাত্র ৪ শতাংশ দেশবাসী টিকার দু'টি ডোজ পেয়েছেন। ভারতে ১৬ জানুয়ারি করোনার টিকাকরণ শুরু হয়। যদিও তার প্রায় এক মাসেক আগে অর্থাৎ গত বছর ডিসেম্বরে মার্কিন মুলুকে করোনার টিকাকরণ চালু হয়েছিল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন