ভারতের শক্তির কারণেই সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি সফলভাবে বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে ভারতের "প্রতিবেশী" বলে উল্লেখ করেছেন। তারপরেই তিনি বলেন, "শুধুমাত্র আমাদের শক্তির কারণেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সফল হয়েছে। ২০১৬ সালে সীমান্তের সংঘর্ষ আমাদের প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকতাকে একটি সক্রিয় মানসিকতায় পরিবর্তন করেছে। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে বালাকোট বিমান হামলা করে ভারত আরও শক্তিশালী হওয়ার পরিচয় দিয়েছে।"
সন্ত্রাস দমনে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না বলে আবারও স্পষ্ট করে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সন্ত্রাস দমনে যা প্রয়োজন তাই করবে ভারত, রবিবার তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটনে ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন রাজনাথ সিং। সেই বৈঠকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ভারতের সীমান্তে একের পর এক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে কখনই আপোস করা হবে না।
আরও পড়ুন- ‘ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের গতি বজায় রাখতে হবে’, যুব শক্তির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদী
কারও নাম না নিয়ে এদিন রাজনাথ সিং আরও বলেন, "দুটি যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পরেও আমাদের একটি প্রতিবেশী দেশ (পাকিস্তান) প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করেছে। সন্ত্রাসবাদই তাদের নীতির একটি প্রধান অংশ হয়ে উঠেছে। অস্ত্র, তহবিল এবং সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতকে টার্গেট করছে তারা। ভারতের সীমান্তে চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমাদের জনগণের আত্মবিশ্বাস রয়েছে। ভারত জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও আপোস করবে না। ভারত শুধুমাত্র নিজের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়বে তাই নয়, প্রয়োজনে অন্য জায়গায় গিয়েও আক্রমণ করতে দ্বিধা করবে না।এই বিশ্বাস ধীরে ধীরে আরও দৃঢ় হয়েছে।"
তালিবানের আফগানিস্তান দখল নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রাজনাথ সিং এদিন আরও জানিয়েছেন, আফগানিস্তান ইস্যুতে ভারত তার কৌশল বদল করেছে। এপ্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, "আমরা আমাদের কৌশল বদলেছি। কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও একই পথে হাঁটছে।"
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন