প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর মায়ের খুবই মধুর। মোদী যখনই কোন শুভ কাজে যেতেন, প্রথমেই মায়ের আশীর্বাদ নিতেন। আজ মাতৃহারা মোদী। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত তাঁর মাকে দেখতে গুজরাটে যেতেন এবং গুজরাটে তার বেশিরভাগ সফরেও মোদী মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতেন।
সদ্যসমাপ্ত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মা হীরাবেনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছর গুজরাট নির্বাচনে-এ হীরাবেন নিজে গিয়ে তাঁর মূল্যবান ভোট দেন। হীরাবেন গান্ধীনগরের কাছে রাইসান গ্রামে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছোট ভাই পঙ্কজ মোদির সঙ্গে থাকতেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই মা হীরাবেনের মৃত্যুর খবর টুইট করেন। । বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্যের অবনতি হলে হীরাবেনকে আহমেদাবাদের ইউএন মেহতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয় হীরাবেনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পরে হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। আজ ভোর সাড়ে তিনটেই চিরঘুমের দেশে হীরাবেন।
আরও পড়ুন: < প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা, বাংলায় সফরসূচিতে কাটছাঁট >
বুধবারই (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি থেকে সরাসরি আহমেদাবাদের ইউএন মেহতা হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে মায়ের সঙ্গে দেখা করে সন্ধ্যায় দিল্লি ফিরে আসেন। চলতি বছরই শতবর্ষে পা দেন হীরাবেন মোদী। তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। মোদীর মায়ের মৃত্যু ঘিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ মোদী সরকারের একের পর এক মন্ত্রী মোদীর মায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন।
নরেন্দ্র মোদীর মায়ের প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা শ্রদ্ধেয়া হীরাবেন মোদির প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ভোরে আমেদাবাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
শতায়ু হীরাবেন দেবী ছিলেন ভালোবাসা, ধৈর্য ও আস্থার প্রতীক। তিনি শিশুদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন। আমি শোকসন্তপ্ত নরেন্দ্র মোদিজি কে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি"। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ের প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ”শতায়ু হীরাবেন দেবী ছিলেন ভালোবাসা, ধৈর্য, ও আস্তার প্রতীক।” শোকবার্তায় লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।