দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েই চলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৫৩। ভাইরাসের নয়া প্রজাতির মোকাবিলায় রাজ্যে-রাজ্যে জারি বিধি-নিষেধ। একাধিক রাজ্য ফের নাইট কার্ফু জারি করেছে। এই আবহে দেশের দৈনিক সংক্রমণেরও ওঠানামা জারি রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৫৮ জন। বর্তমানে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৪৫৬। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় সুস্থতার হার ৯৮.৯ শতাংশ। মোটের উপর দেশের দৈনিক সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৫৩।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই ওমিক্রনের সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত মারাঠাভূমে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭। মহারাষ্ট্রের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে ছুটছে রাজধানী দিল্লি। এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ১৬৫ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এছাড়াও কেরলে ৫৭, তেলেঙ্গনায় ৫৫ ও গুজরাতে এখনও পর্যন্ত ৪৯ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
আরও পড়ুন- ১২ বছরেই সন্তানসম্ভবা! হাইকোর্টে মঞ্জুর কিশোরীর গর্ভপাতের আবেদন
এই পরিস্থিতিতেই আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ কর্মসূচি। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু করোনার সতর্কতামূলক ডোজের (বুস্টার) প্রয়োগ। স্বাস্থ্যকর্মী, কোভিড যোদ্ধা এবং কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন ৬০ বছরের উপরে থাকা প্রবীণ নাগরিকরাদের সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হবে। ১০ জানুয়ারি থেকে চালু হবে কোভিডের এই তৃতীয় টিকার ডোজের প্রয়োগ।
Read full story in English