জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তান ও তাদের বন্ধু দেশ পাকিস্তান। উপত্যাকায় নয়াদিল্লির পদক্ষেপের বিরোধীতা করা হয়েছে সেখানে। যার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ভারতের তরফে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়েই তৈরি হয়েছে তথাকথিত চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর। যার প্রবল বিরোধিতা করা হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছন্ন অংশ। তাই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের যৌথ বিবৃতি খারিজ কতরা হল। প্রথম থেকেই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা করছে ভারত। কারণ ওই করিডর তৈরি হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ১৯৪৭ সাল থেকেই যা পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। জম্মু-কাশ্মীরের স্থিতাবস্থা বদলের জন্য ভারত অন্য যেকোনও রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের বিরোধী। সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আমরা এই ধরণের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আর্জি জানাচ্ছি।'
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে থাকতে চাই’, বললেন ইমরানের দলের প্রাক্তন বিধায়ক
পাকিস্তান সফরে যান চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। গত রবিবার, ইসলামাবাদ ও বেজিং-এর তরফে যৌথ বিবৃতি দেয়। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশ, যৌথ বিবৃতিতে কাশ্মীরে মোদী সরকারের সর্বাত্মক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফরে যান চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। গত রবিবার, ইসলামাবাদ ও বেজিং-এর তরফে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশ, যৌথ বিবৃতিতে কাশ্মীরে মোদী সরকারের সর্বাত্মক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনেও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়। উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় উপত্যাকার মানবাধিকার নিয়ে। সেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ও রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ভূস্বর্গের মানবাধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারতের কাছে আবেদন করে রাষ্ট্রসংঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন।
আরও পড়ুন: আসাম এনআরসি: ১৯ লক্ষ নাম বাদ পড়ায় কেন খুশি নয় বিজেপি বা আসু
জেনেভায় কমিশনের ৪২তম বৈঠকের প্রথমেই সংগঠনের প্রধান মিশেল ব্যাশেলে বলেন, 'নিয়ন্ত্রণ রেখার দু'পার থেকেই আমার দফতরে ক্রমাগত রিপোর্ট আসছে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে ভারত সরকারের পদক্ষেপের জেরে সেখানকার মানবাধিকা, ইন্টারনেট যোগাযোগ বিতচ্ছিন্নতা ও স্থানীয় নেতাদের বন্দি করা নিয়ে আমি উদ্বীগ্ন।' উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে ভারত পাকিস্তান উভয় দেশের কাছেই আবেদন করেন রাষ্ট্রসংঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান। জোর দেওয়া হয কাশ্মীরিদের সঙ্গে কথোপকথনের উপর।
মিশেল ব্যাশেলের এই মন্তব্যের পর ভারতের তরফে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া আসেনি। ভারতের তরফে এই বৈঠক প্রতিনিধিত্ব করছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিশারিয়া। এর আগে পাকিস্তানের চাপাচাপিতে চিনের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য কাশ্মীর ইস্যুকে তুলে ধরা হয়। যদিও আলোচনায় কোণঠাসা হয় ইমরান খানের দেশ।
Read the full story in English