তুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারও দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের বেশি ছিল। সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কা নিয়ে আশঙ্কার আবহে পরপর বেশ কয়েকদিন দেশের কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় আতঙ্ক বাড়ছে।
আবারও ঊর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক সংক্রমণ। শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে নতুন করে ৩৪ হাজার ৪০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৫০ জন। গতকালের তুলনায় এদিন সামান্য কমেছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা।
বর্তমানে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৬ জন। ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪২৪ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে দেশের দুই রাজ্যে সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও ঘোর উদ্বেগে রেখেছে কেন্দ্রকে। মহারাষ্ট্র ও কেরলে এখনও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে করোনা। এই আবহে এবারও গণেশ পুজোয় অত্যন্ত সাবধানী ছিল মহারাষ্ট্র সরকার। পুজোকে কেন্দ্র করে সবধরনের জমায়েতই ছিল নিষিদ্ধ। তবুও মহারাষ্ট্রের পাঁচটি জেলার সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে। এরই পাশাপাশি কেরলেও করোনা মোকিবালায় নাইট কারফিউ, সপ্তাহান্তে লকডাউন জারি থাকছে। তবুও সংক্রমণে লাগাম পরানো যাচ্ছে না।
দেশজুড়ে চলছে করোনার টিকাকরণ অভিযান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে ৭৬ কোটি ৫৭ লক্ষ ১৭ হাজার ১৩৭ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ করোনা টিকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- আজ প্রধানমন্ত্রীর ৭১তম জন্মদিন, মোদী বন্দনায় ‘বিশাল’ কর্মযজ্ঞ বিজেপির
করোনা এড়াতে বুস্টার ডোজ চালুর পক্ষে নয় কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার ফের তা স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র। বরং টিকার দুটি ডোজই যাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যেকে পান, সেদিকেই নজর রয়েছে কেন্দ্রের। সাংবাদিক সম্মেলনে আইসিএমআর-এর অধিকর্তা বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে টিকার দুটি ডোজ পাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে কোনও দ্বিমত থাকা উচিত নয়।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন