দিওয়ালির আগে লাগাতার করোনা-স্বস্তি দেশে। পরপর বেশ কয়েকদিন দেশের কোভিড-গ্রাফ নিম্নমুখী। পাল্লা দিয়ে কমছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪২৩ জন। গতকালের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ ২ হাজারেরও বেশি কমেছে। তবে সংক্রমণ কমলেও চিন্তা মৃতের সংখ্যা নিয়ে। একদিনে নতুন করে দেশে করোনার বলি ৪৪৩ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৭৬। গত ২৫০ দিনে করোনা সক্রিয় রোগীর এই পরিসংখ্যান সর্বনিম্ন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২১ জন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৩৭। যদিও এঁদের মধ্যে ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৮১ জন ইতিমধ্যেই করোনামুক্ত হয়েছেন। করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৮০। টিকাকরণে আরও বেশি জোর দিতে চায় কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত ১০৬ কোটি ৮৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৭৯ জনের টিকাকরণ হয়েছে।
এদিকে দেশে সার্বিক টিকাকরণ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। সেই রিপোর্টে উল্লেখ, দেশের ৪৮ জেলায় টিকাকরণের প্রথম ডোজের হারই ৫০ শতাংশেরও কম। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তৎপরতা নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী টিকাকরণের এই রিপোর্ট নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, টিকাকরণের হারে পিছিয়ে পড়া ৪৮ জেলার মধ্যে ২৭ জেলাই উত্তর-পূর্বের। এর মধ্যে মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের ৮টি করে জেলা রয়েছে। টিকাকরণের হারে পিছিয়ে পড়া জেলা সবচেয়ে বেশি ঝাড়খণ্ডে। এই রাজ্যের ৯টি জেলায় টিকাকরণের প্রথম ডোজ ৫০ শতাংশেরও কম। তালিকায় রয়েছে দিল্লির একটি জেলা। মহারাষ্ট্রেরও ৬টি জেলা রয়েছে এই তালিকায়।
আরও পড়ুন- ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পর অনিল দেশমুখকে গ্রেফতার করল ED
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, বর্তমানে টিকাকরণে যোগ্য জনসংখ্যার ৭৭.৪৪ শতাংশ প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩৫ শতাংশ নাগরিক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, টিকাকরণে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে আগামী মাসে ‘ডোর-টু-ডোর’ টিকাকরণ অভিযান চালানো হতে পারে। এব্যাপারে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন