সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও করোনা স্বস্তি জারি। আরও কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। কমেছে মৃত্যু। নিম্নমুখী করোনা অ্যাক্টিভ কেসও। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ৩৫৬ জনের। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৫১ জন। বর্তমানে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮১৬ জন।
ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে দেশ? সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কা নিয়ে আতঙ্কের মাঝেও গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছে। সোমবারের পর মঙ্গলবারেও নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে দেশে করোনার সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ এদিনই। একদিনে করোনায় কাবু ১২ হাজারের কিছু বেশি। অন্যদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশজুড়ে টিকাকরণ জোরদার গতিতে এগোচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিক অঞ্চল মিলিয়ে ১০৭ কোটি ২২ লক্ষেরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে দক্ষিণের রাজ্য কেরল এখনও উদ্বেগ বাড়িয়েই চলেছে কেন্দ্রের। প্রতিদিন নতুন করে হাজার-হাজার মানুষ কেরলে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। বাড়ছে মৃত্যু। দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে প্রথম তা নিয়ন্ত্রণে এনে গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল কেরল।
ভারতে তো বটেই বিশ্বের অন্য দেশগুলির কাছেও করোনা জব্দে কেরলকে মডেল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু ওনাম ও ঈদ ভেস্তে দেয় সব কিছু। দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিধি-নিষেধে ঢালাও ছাড়ে হু হু করে সংক্রমণ বেড়েছে কেরলে। যার রেশ এখনও অব্যাহত রয়েছে। কেরল ছাড়াও মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের সংক্রমণ পরিস্থিতিও এখনও উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন- গোয়ায় তৃণমূূলের পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ, বিজেপি ‘কাপুরুষ’- আক্রমণ জোড়া-ফুলের
এদিকে, সংক্রমণ পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই একাধিক রাজ্যে চালু হয়েছে স্কুল, কলেজ। পশ্চিমবঙ্গেও আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বাংলায় স্কুলে আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন