এই নিয়ে টানা তিনদিন! দেশের দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের ওপর। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে নতুন করে দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৪৪ জন। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে একদিনে মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন ৫৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৬০।
দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ৪.৮০ শতাংশ। পাশাপাশি ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুসারে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৬০। কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, বাংলার সংক্রমণ রীতিমত কাঁপুনি ধরাচ্ছে। একই সঙ্গেই বেড়ে চলেছে বানিজ্যনগরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
একদিনে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৩০০ মানুষ। করোনার বলি হয়েছেন ১০ জন। তামিলনাডুতেও আক্রান্তের সংখ্যা ২হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টার নিরিখে বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩০৬৭ জন। পজিটিভিটি রেটও পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী। বাংলায় বর্তমানে করোনার দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ১৯.৫৪ শতাংশ।
রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতরের দেওয়া বৃহস্পতিবার বিকেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২০,৬৫,৩৬০ জন। বঙ্গে বর্তমানে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৮,৮৫৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা জয়ীর সংখ্যা ১,৮৭৫ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ২০,১৪,০৫২ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৫২ শতাংশ।
মৃত্যুর সংখ্য়া গতদিনের মতোই। গতকাল করোনায় প্রাণহানি হয়েছিল ৫ জনের। শুক্রবারও একই সংখ্যাক প্রাণহানি ঘটেছে। রাজ্যে মোট মৃত ২১,২৬৫ জন। মৃত্যুহার ১.০৩ শতাংশ। দৈনিক করোনা সংক্রমণের নিরিখে এদিনও রাজ্যে তালিকার শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা (আক্রান্ত ৬৯৩ জন)। কলকাতা আক্রান্ত (৬৫৩ জন)। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বীরভূম (আক্রান্ত ২৪৯ জন)। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একশোর বেশি রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনারটিকা প্রয়োগের সংখ্যা কমেছে। দৈনিক টিকাদানের সংখ্যা ৯৮.৮৯৭ ডোজ। সতর্কতামূলক ডোজ প্রয়োগ হয়েছে ৪৩,৯৪,৮৩৫। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৫,৯৮১ ডোজ।
আরও পড়ুন: <বুস্টার ডোজের প্রথম দিনেই বিপুল সাড়া, খুশি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা>
সারা দেশে একদিনে করোনাকে হারিয়ে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮হাজার ৩০১ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৪৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুসারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪লক্ষ ১৭ হাজার ৮৯৫। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ফি দিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ধরন পাল্টে-পাল্টে হানা দিচ্ছে ভাইরাস।
করোনার নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্ট ভয় বাড়াচ্ছে। এর থেকে বাঁচতে বুস্টার ডোজের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই দিন দু’য়েক আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে দেশজুড়ে বিনামূল্যে ১৮ ঊর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ থেকে আগামী ৭৫ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। এরই মধ্যে দেশে নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু দিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রথম দিনেই ভাল সাড়া পেয়ে খুশি আধিকারিকরাও।