আরও কমল দেশের দৈনিক সংক্রণণ। গতকালের তুলনায় কমেছে মৃতের সংখ্যাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৫৬ জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯৫ জনের। স্বস্তি অ্যাক্টিভ কেসে। গত ৬ মাসে সর্বনিম্ন করোনা অ্যাক্টিভ কেস দেশে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, আপাতত দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কমে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার।
গতকালের তুলনায় সামান্য কমল দেশের দৈনিক সংক্রমণ। তবে বড়সড় স্বস্তি করোনা অ্যাক্টিভ কেসে। গত ৬ মাসে এদিনই সর্বনিম্ন করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গতকালও দেশের করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৩ লক্ষ ৩২ হাজারের বেশি ছিল। সোমবার সেই পরিসংখ্যান নেমেছে ৩ লক্ষ ১৮ হাজারে। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল। একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপেও কেরলে লাগামহীন সংক্রমণ। গোটা দেশে একদিনে সংক্রমিত ৩০ হাজার ২৫৬। তার মধ্যে শুধু কেরলেই গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি।
করোনাকালে এবছরের মতো রবিবার শেষ হয়েছে গণেশ উৎসব। মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্যেই গণপতি বাপ্পার বিসর্জন পালা শেষ হয়েছে রবিবারেই। একটানা ১০ দিন ধরে মহারাষ্ট্রে ধুমধাম করে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। তবে করোনার জেরে গতবারের মতো এবারও মারাঠাভূমে অনাড়াম্বরভাবেই গণেশ পুজো পালিত হয়েছে। করোনার জেরে এবারও কড়া বিধি-নিষেধ জারি করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। গণেশ পুজোকে কেন্দ্র করে যে কোনও ধরনের জমায়েতই ছিল নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন- কৃষক-দরদী মোদী সরকার, এবার বড়সড় উদ্যোগ কেন্দ্রের
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা এখনও প্রবল। সেই কারণেই রাজ্যে-রাজ্যে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে উৎসবের মরশুম। করোনাকালে দেদার উৎসব পালনে কী মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছে কেরল। দক্ষিণের এই রাজ্যের সরকার ওনাম ও ইদ পালনে বিধি-নিষেধ শিথিল করেছিল। তারপর থেকেই কেরলে শুরু বিদ্যুৎ গতির সংক্রমণ। কেরল থেকে শিক্ষা নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। গণেশ পুজোয় কড়া বিধি-নিধেষ জারি ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যে-রাজ্যে নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে কোনও জমায়েতে যাতে অনুমিত দেওয়া না হয়, সেব্যাপারে মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠিয়েছে।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন