কমছে সংক্রমণ, পাল্লা দিয়ে কমছে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। দেশের করোনা পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিন ও ইউরোপের পরিস্থিতি। ওই দেশগুলিতে ফের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে। এদেশেও আগেভাগে তাই সতর্কতা নেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী। শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৩ জন। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৯২৬ জন।
একদিনে দেশে করোনার বলি ৭১। তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৭৩ শতাংশ। দেশের সংক্রমণ হার বর্তমানে ০.৫৬ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৮০২। করোনা অ্যাক্টিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.৬ শতাংশে। এখনও পর্যন্ত ১৮১ কোটিরও বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে চিন এবং ইউরোপের একাধিক দেশে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা। বিশেষ করে চিনের একাধিক শহরে করোনা মোকাবিলায় জারি করা হয়েছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে ঘোর বিপাকে পড়েছেন চিনের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ভারতীয় পড়ুয়ারা। হাজার-হাজার ভারতীয় পড়ুয়া চিনের বিভিন্ন শহরের মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন।
আরও পড়ুন- ফের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি কেন্দ্রের
ভারতীয় দূতাবাসের প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া করোনাকালীন পরিস্থিতিতে চিন থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। তাঁদের কোর্স এখনও শেষ হয়নি। ইউক্রেনের মত চিনেও কোর্স ফি কম হওয়ার কারণে অনেক দেশ থেকেই পড়াশোনার জন্য পড়ুয়ারা সেখানে যান। ভারতীয় পড়ুয়াদের কাছে চিন অন্যতম পছন্দের দেশ। সেদেশে ডাক্তারি পড়ার খরচ প্রতি বছর ভারতীয় মুদ্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা। যা ভারতের বেসরকারি কলেজের থেকে অনেক কম।