দেশে সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। গতকালের চেয়ে এদিন দৈনিক সংক্রমণ ৬.৭ শতাংশ বেড়েছে। রাজ্যে-রাজ্যে লাগামছাড়া সংক্রমণ। দিল্লিতে গতকাল প্রায় ২৯ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এটাই দিল্লির সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। করোনার চোখরাঙানি জারি বাংলাতেও। গতকালই বঙ্গের দৈনিক সংক্রণ ২৩ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ,কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতে করোনা ব্যাপকভাবে আতঙ্ক বাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ২০২ জন। একদিনে দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪৫ জন। এই মুহুর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৩ জন। দেশে করোনা পজিটিভিটি রেট বেড়ে ১৪.৭৮ শতাংশ। দেশজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত করোনার অত্যন্ত সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৭৫৩।
রাজধানী দিল্লিতে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি। করোনার থার্ড ওয়েভে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড দিল্লিতে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৮ হাজার ৮৬৭। ২০২১-এর ২০ এপ্রিলের পর এটাই দিল্লির সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। এর আগে গত বছরের ২০ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সময় দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৮ হাজার ৩৯৫। দিল্লিতে করোনা পজিটিভিটি রেট বেড়ে ২৯.২ শতাংশ। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজধানীতে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৪ হাজার ১৬০।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংক্রমণ! মুম্বইয়ে কমেছে দৈনিক আক্রান্ত
করোনা ঘুম কেড়েছে বাংলার। গতকাল সন্ধেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতেরর দেওয়া তথ্য বলছে, একদিনে নতুন করে বঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৩,৪৬৭, মৃত্যু ২৬ জনের। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩০ হাজারের উপরে। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বেড়ে ৩২.১৩%। সংক্রমণ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মোদী। করোনা মোকাবিলায় আরও কী কী পদক্ষেপ করা যায় সেব্যাপারে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। গতকাল ওই বৈঠকে মোদী জানান, কোভিড রুখতে এমনভাবে কৌশল তৈরি করতে হবে যাতে অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার সুরক্ষার দিকটি বিঘ্নিত না হয়।
Read full story in English