মঙ্গলবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের প্রত্যাঘাত ভারতের। মঙ্গলবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখায় লাগাতার গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তান। জবাবি আক্রমণে ৫টি পাকিস্তানি পোস্ট ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র লেফট্যানেন্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ জানিয়েছেন, জবাবি আক্রমণে পাকিস্তানে অনেকে হতাহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় ১২ থেকে ১৫টি জায়গায় লাগাতার গুলিবর্ষণ চালায় পাকিস্তান। এমনকি, গ্রামবাসীদের ঢাল করে তাঁদের বাড়ি থেকে মর্টার, মিসাইল ছোড়ে পাক সেনা। এমনটাই দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র। গ্রামবাসীদের টার্গেট করে পাক সেনা ১২০ মিমি মর্টার নিক্ষেপ করেছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, গতকাল পাক গোলাবর্ষণের ঘায়ে জখম হয়েছেন ৫ ভারতীয় সেনা জওয়ান। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক গোলাবর্ষণে আহত পাঁচ সেনা জওয়ান
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ের খবর মিলেছে। সোপিয়ান জেলায় চলছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। মিমেন্দর এলাকায় ২-৩ জন জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, এ খবর পাওয়ার পরই অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি ‘মিরাজ ২০০০’ বিমান জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মিরাজ ২০০০ বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে এই অভিযান চালায়। হাজার কেজি বোমা নিক্ষেপ করে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরই ভারতের আকাশে পাক ড্রোন!
ভারতীয় বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে জানান, ‘‘বালাকোটে জইশের সবথেকে বড় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। জইশ-এ-মহম্মদের বহু জঙ্গি, সিনিয়র কমান্ডার, প্রশিক্ষকরা মারা গিয়েছে।’’ গোখলে আরও বলেন, ‘‘দেশে আরও আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছিল জইশ। এজন্য প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছিল বলে খবর পেয়েছিলাম। সেকারণেই বালাকোটে এদিন জইশ ঘাঁটিতে হানা দেওয়া হল।’’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বালাকোটের ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের মাথায় ছিলেন মাসুদ আজহারের আত্মীয় মৌলনা ইউসুফ আজহার।
Read the full story in English