রাষ্ট্রসংঘের ৭৪তম সাধারণ সভায় ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ইমরান খান। একইসঙ্গে তাঁর চড়া সুর শোনা গিয়েছে আরএসেএসের বিরুদ্ধেও। আরএসএসকে মুসোলিনি ও হিটলারের দ্বারা অনুপ্রণিত বলে 'ফ্যাসিস্ত'দের সঙ্গেও মিলিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'এই সংগঠন মুসলিমদের নির্মূল করে দেওয়ায় বিশ্বাসী'। এবার ইমরান খানের সেই মন্তব্যের বিরোধিতায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল আধার ও প্যান কার্ড সংযুক্তিকরণের সময়সীমা
আরএসএসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে বলেন, 'আরএসএস মানেই ভারত। আমাদের বিশ্বের অন্যত্র কোনও শাখা নেই। আরএসএস ও ভারত সমার্থক। আমরাও চাই, বিশ্ব ভারত ও সংঘ-কে একত্রেই দেখুক। পাকিস্তান যদি সংঘকে ঘৃণা করে, তবে তারা ভারতকেও ঘৃণা করছে'।
তবে, আরএসএস বিরোধী ধারণা ও মন্তব্য করার জন্য 'কাপ্তান' ইমরানকে ধন্যবাদ দেন সংঘ নেতা কৃষ্ণ গোপাল। তাঁর কথায়, 'বিশ্বের অন্যকোনও দেশে আমাদের শাখা নেই। তাই পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে আরএসএসের নাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল। ওনাকে অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ'।
আরও পড়ুন: আজ থেকে টালা ব্রিজে বাস বন্ধ, জেনে নিন বিকল্প পথ
রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, 'মিস্টার মোদী আরএসএসের আজীবন সদস্য। এই আরএসএস আদতে হিটলার-মুসোলিনির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি। আরএসএস ভারত থেকে মুসলিমদের নির্মূল করার তত্ত্বে বিশ্বাস করে। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা গোলওয়ালকর ও সাভারকর সম্পর্কে গুগল করে দেখুন। এদের এই ঘৃণার তত্ত্বই গান্ধীকে হত্যা করেছিল। প্রাক্তন কংগ্রেসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, আরএসএস ক্যাম্পে জঙ্গি তৈরি হয়। এই জঙ্গিরাই গুজরাট দাঙ্গার সময় ২ হাজার জনকে কেটে ফেলেছিল। ঘরছাড়া হয়েছিল দেড় লাখ মুসলিম। এই সংগঠনের সদস্যদের ভয়ানক দম্ভ রয়েছে। যা হিংসায় মদত দেয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাজেও এই দাম্ভিকতার প্রভাব রয়েছে।'
Read the full story in English