জৈশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরই পাক অভিযানে বিরতি টেনেছে ভারত। মঙ্গলবার ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের কাছেই মাসুদ আজহারকে নিষেধাজ্ঞা তালিকাভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের হাতে গত সপ্তাহেই একটি ডসিয়ের বা তথ্যপঞ্জি তুলে দিয়েছে ভারত। ওই নথিপত্রে পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জৈশ-এ-মহম্মদের যোগাযোগ এবং পাকিস্তানে জৈশ-এ-মহম্মদের জঙ্গি শিবির ও তাদের নেতৃত্বের উপস্থিতির বিশদ বিবরণ দেওয়া রয়েছে। নয়া দিল্লি একই সঙ্গে একটি তালিকা দিয়েছে পাকিস্তানকে। ওই তালিকায় মাসুদ আজহার, তার পরিবার এবং জৈশের অন্যান্য ক্যাডাররা কী কী ধরনের সুবিধা ভোগ করে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, তাদের দেশে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সারা দুনিয়ার চাপ আসার পর মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠনের ৪৪ জনকে আটক করল পাকিস্তান। এর মধ্যে জৈশ-এ-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের দুই আত্মীয় রয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে জৈশ প্রধানের দুই ভাই মুফতি আব্দুর রউফ এবং হাম্মাদ আজহার। পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ মন্ত্রক একথা জানিয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পাক-বিরোধী অভিযান আপাতত বন্ধ করা হলেও সন্ত্রাসবাদী হামলার মতো ঘটনা ঘটলে ফের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর পড়ুন, হিন্দুদের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যের জেরে বরখাস্ত পাক মন্ত্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স ইতিমধ্যে জৈশ প্রধান মাসুদকে নিষেধাজ্ঞা তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। দিল্লি থেকে বাকি সমস্ত দেশকেই ব্যাপারটি নিয়ে তাদের আঞ্চলিক প্রতিনিধিকে অবগত করার কথা জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সহমত পোষণ না করলে আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে হবে তা। পি-৫ দেশ এবং অস্থায়ী সমস্ত সদস্যকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিগত ১০ বছর ধরে একমাত্র চিন বাধা দেওয়ায় 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী' তালিকাভুক্ত করা যায়নি মাসুদ আজহারকে। এবারেও সেই একই পথে চিন হাঁটবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও তিনটি আশার আলো ইতিমধ্যে দেখতে পেয়েছে ভারত।
প্রথমত, পুলওয়ামা হামলা পরবর্তী পর্যায়ে চিন এখনও পর্যন্ত ভারতকে নেতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। দ্বিতীয়ত, পুলওয়ামা হামলাকে জইশের ঘৃণ্যতম অপরাধ হিসেবে স্বীকার করে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে চিন। তৃতীয়ত, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পর বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের চিন সফর যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল।
Read the full story in English