চিনের নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত। বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইএটিএ তার সদস্যদের ২০ এপ্রিল এই নতুন নির্দেশের কথা জানিয়েছে। চিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভারতের প্রায় ২২ হাজার পড়ুয়া লেখাপড়া করে। তাদের সমস্যার কথা চিনকে জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু, প্রতিবেশী দেশটি এখনও পর্যন্ত ওই পড়ুয়াদের চিনে প্রবেশ করতে দেয়নি। ২০২০ সালে যখন করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন ওই পড়ুয়ারা চিন থেকে ভারতে চলে আসে। তার প্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ ভারত চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কথা জানার পর আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন) বা আইএটিএ ২০ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যাতে আইএটিএ জানিয়েছে, 'পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার নাগরিকদের জন্য ইস্যু পর্যটক ভিসা আর বৈধ রইল না।'
বিশ্বের ২৯০টি বিমান সংস্থা আইআরটিএর অনুমোদনে চলে। বিশ্বের মোট বিমান চলাচলের ৮০ শতাংশই অনুমোদন করে আইআরটিএ। এর আগে গত ১৭ মে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, বেজিঙের সঙ্গে নয়াদিল্লি কথা বলছে। চিনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়ার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য অবস্থান নিতে বেজিং-কে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু, তারা সেটা কর্ণপাত করেনি। উলটে চিন জানিয়েছিল, এই সমস্যা কীভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে মেটানো যায়, সেটাই তারা দেখছে। বিদেশি পড়ুয়াদের চিনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এখনও পরীক্ষামূলকস্তরে আছে।
আরও পড়ুন- শীর্ষ আদালতে জামিন বাতিল, জেলেই ফিরল আশিস মিশ্র
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে দুশানবেতে একটি বৈঠকের সময় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে তাজিকস্তানের রাজধানী শহরে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু, তারপরও সমস্যা একচুলও মেটেনি। আর, সেই কারণেই যে বাধ্য হয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। তবে, চিন বাদে নতুন করে অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করা হয়নি।
Read story in English