অপেক্ষার অবসান, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে গণ টিকাকরণ শুরু হবে ভারতে। কেন্দ্রীয় সরকার শনিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে। এর আগে সূত্রের খবর ছিল, ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে পারে টিকাকরণ। কিন্তু এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে টিকাকরণের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে সরকার।
প্রথমে দেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দেওয়া হবে। তার পর ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষদের টিকা দেওয়া হবে। মোট ২৭ কোটি মানুষকে প্রথম দফায় টিকা দেওয়া হবে। মকর সংক্রান্তির পরদিন থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, এদিনই ১৬তম প্রবাসী ভারত দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে দাবি করেন, "ভারতে তৈরি দুটি করোনার টিকা গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারে। এবং গোটা বিশ্ব সেটার জন্য শুধু অপেক্ষাই করছে না, তারা দেখবেন কীভাবে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণ টিকাকরণ কর্মসূচি পালন করবে।"
আরও পড়ুন ভারতের তৈরি ২টি করোনা টিকা মানবজাতিকে রক্ষা করবে: প্রধানমন্ত্রী
করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে টেক্কা দিয়েছে ভারত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রসংঘেও ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। ইতিমধ্যেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেক-আইসিএমআরের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকাকে জরুরি প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র।
এছাড়াও আহমেদাবাদের ওষুধ প্রস্ততকারী সংস্থা জাইডাস-ক্যাডিলার টিকারও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই প্রসঙ্গেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “আজ, আমরা ভারতে তৈরি দুটি করোনা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে গোটা মানবজাতিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন কীভাবে হবে গণ টিকাকরণ? মুখ্যমন্ত্রীদের স্ট্র্যাটেজি বলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেছেন, “বিশ্বের সেই সব দেশের মধ্যে ভারত পড়ে যেখানে করোনায় মৃত্যুহার সর্বনিম্ন এবং এবং সুস্থতার হার সর্বাধিক। অতিমারী আবহে যেভাবে দেশ একসঙ্গে লড়াই করেছে তার কোনও তুলনা হয় না। ভারত বিশ্বের ধন্বন্তরীর মতো সব দেশকে জরুরি ওষুধ সরবরাহ করেছে, এবং আগামিদিনেও করবে।”
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন