লকডাউনেও অশান্তি জারি কাশ্মীরে। রবিবার ফের সেনা-জঙ্গি গুলির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় উপত্যকা। খতম হয় পাঁচ জঙ্গি। এদিকে করোনা লড়াইয়ের মধ্যেই বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন অমিত শাহ। শাহের বক্তব্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই সরকার করবে এনডিএ। অন্যদিকে, ‘শান্তিপূর্ণ ভাবে’ ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার সমাধান চায় দুই দেশ।গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা মোতায়েন ঘিরে ইন্দো-চিন উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। আজ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে,
সোপিয়ানে সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে খতম পাঁচ জঙ্গি
সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে রবিবার অশান্ত হল দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলা। সেনার উচ্চপদস্ত আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে যে এই লড়াইয়ে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
সিআরপিএফ-এর মুখপাত্র জানিয়েছে যে সকাল আটটায় রেবান এলাকাতে এই এনকাউন্টার হয়। সূত্রের খবর সিআরপিএফ জওয়ানরা গোপন সূত্রে এই পাঁচ জঙ্গির খবর জানতে পারে। লকডাউনের সময় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। শহিদ হয়েছেন সেনা জওয়ানরা। তবে সাফল্যও পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। লকডাউন চলাকালীন খতম হয়েছে হিজবুল এবং জইশ-ই-মহম্মদ আরও কয়েকজন জঙ্গি।
সম্প্রতি হিজবুল কমান্ডার নাইকু ও জইশ-ই-মহম্মদের "ফৌজি ভাইকে" খতম করে সেনা। মে মাসের শুরুর দিকে পুলওয়ামায় নিজের গ্রাম এনকাউন্টারে খতম হয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিনের কুখ্যাত কম্যান্ডার এবং মোস্ট ওয়ান্টেড রিয়াজ নাইকু। পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
ভার্চুয়াল সভা থেকে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সরব শাহ
বিহারের বিধানসভা ভোট দলের জমি পোক্ত করতে আজ ভার্চুয়াল জনসভা করলেন পদ্ম বাহিনীর চাণক্য অমিত শাহ। ইউটিউব, ফেসবুক সহ নানান অ্যাপের মাধ্যমে ৭২ হাজার বুথের প্রায় ৫ লাখ কর্মী, সমর্থকের কাছে সরাসরি শাহের বক্তব্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই সরকার করবে এনডিএ।
এক নজরে দেখে নিন কী বলেছেন অমিত শাহ:
* "আমি বিশ্বাস করি যে নীতিশ কুমারজির নেতৃত্বে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এ রাজ্যে সরকার তৈরি করবে এনডিএ।"
* "যতদিন আরজেডি ছিল বিহারে ততদিন বৃদ্ধির হার ছিল ৩.৯ শতাংশ। নীতিশ কুমারের সময়ে সেই বৃদ্ধির হার পৌঁছেছে ১১.৩ শতাংশে।"
* "বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী"।
*"গত ৭০ বছরে যে কাজগুলি করার কেউ সাহস দেখায়নি দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বছরেই সেই বিষয়গুলির সমাধান করা হয়েছে।"
বিস্তারিত পড়ুন এই প্রতিবেদনে, নীতিশের নেতৃত্বেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে এনডিএ, সাফ জানালেন শাহ
দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতেই ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার সমাধান করবে: বিদেশমন্ত্রক
দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে ‘শান্তিপূর্ণ ভাবে’ ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার সমাধান চায় দুই দেশ। বিদেশমন্ত্রকের তরফে রবিবার এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা মোতায়েন ঘিরে ইন্দো-চিন উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। তৈরি হয় যুদ্ধের পরিস্থিতি। সমস্যা সমাধানে শনিবার দুই দেশের সেনা পর্যায়ে আলোচনা হয়। এদিন বিদেশমন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে ' ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতিতে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দু’দেশের প্রধানদের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী দু’দেশই শান্তিপূর্ণ ভাবে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চায়।'
শনিবারের সেনা পর্যায়ের বৈঠক সদর্থক হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এ বছর ভারত চিন কূটনীতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে উল্লেখ, 'যত দ্রুত সমস্যা মিটবে, তত তাড়াতাড়ি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে সহমত হয়েছে উভয় পক্ষ।' উত্তেজনা প্রশমনে প্রয়োজনে সেনাস্তরের আরও উচ্চ পর্যায় ও কূটনীতিকভাবেও আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তবে বেজিংয়ের তরফে শনিবারের বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য় এখনও আসেনি।
* লাদাখ, সিকিম ও অরুণাচলে ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নির্ধারণ নিয়ে বেজিং-নয়াদিল্লি বিবাদ দীর্ঘদিনের।
* পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে প্রকৃত নিয়্ন্ত্রণরেখায় গত ৫ এবং ৬ মে দু’দেশের সেনা জওয়ানদের মধ্যে হাতাহাতি হয়
* গত ১ মাস ধরে ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনার পারদ চড়ছে
* লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে গালওয়ান উপত্যকায় চিন সমারাস্ত্র মজুত করছে, সেনার সংখ্যাও বাড়চ্ছে
* ভারতও লাদাখ, সিকিম সহ ইন্দো-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে
* দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধের আবাহ তৈরি হয়েছে
* চরম সংকটের পরিস্থিতির কথা আগাম ভেবেই সেনার প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি বাড়াতে হবে: শি জিনপিং
* চিনা আগ্রাসনের সামনে ভারতীয় সেনা কোনও মতেই পিছ-পা হবে না, মোদীর সঙ্গে সেনা প্রধানের আলোচনায় সিদ্ধান্ত
* তবে, উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ের আলোচনাতেই গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দেশ
* শনিবার ভারতীয় প্রতিনিধিত্বের নেতৃত্ব দেন ১৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিংহ
* চিনের পক্ষে ছিলেন তিব্বত মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার
শনিবারের এই বৈঠকের আগে উভয় দেশের সেনা পর্যায়ে বেশ কয়েকদফা আলোচনা হয়। তবে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমণের কোনও সূত্র সেখান থেকে মেলেনি। গত শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নবীন শ্রীবাস্তবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল। সেই ভিডিও বৈঠকেই সীমান্ত ইস্যু মেটাতে দু’দেশই শান্তিপূর্ণ আলোচনা চালাতে সম্মত হয়। ডোকলাম সমস্য়া সমাধানে প্রায় পৌনে তিন মাস সময় লেগেছিল। এবারও সমস্য়া সমাধানে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। Read in English
দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
করোনা আবহেই অনলাইন সমাবেশে আজ বিহারে ভোটের দামামা বাজাবেন অমিত শাহ
দু'মাসের উপর লকডাউন। বন্ধ ছিল দেশের বেশিরভাগ অংশের কর্মকাণ্ড। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের পঞ্চম দফায় ফের একবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের দিকে মনোনিবেশ করেছে বিজেপি। চলতি বছরের বিহারের বিধানসভা ভোট দলের জমি পোক্ত করতে আজ ভার্চুয়াল জনসভা করবেন পদ্ম বাহিনীর চাণক্য অমিত শাহ। বিকেল চারটে হবে এই সভা। ইউটিউব, ফেসবুক সহ নানান অ্যাপের মাধ্যমে ৭২ হাজার বুথের প্রায় ৫ লাখ কর্মী, সমর্থকের কাছে সরাসরি শাহের বার্তা পৌঁছবে বলে দাবি গেরিয়া শিবিরের।
বিহারের বিজেপি মুখপাত্র নিখিল আনন্দ বলেছেন, 'গত দু'মাসে করোনা মোকাবিলার সঙ্গেও সংগঠনের কাজ করেছে দলের কর্মীরা। এবার তাঁদের বার্তা দেবেন অমিত শাহ। দলের রাজ্য নেতৃত্ব ভার্চুয়াল বৈঠকে অভ্যস্ত। মণ্ডল শক্তি কেন্দ্রস্তরেও প্রদেশ সভাপতি ভিডিও বৈঠক করে থাকেন। নয়া ভারত প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেয়। এবার ভোট ময়দানেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।'
* চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা ভোটের সম্ভাবনা
* দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান ভার্চুয়াল জনসভায় তুলে ধরবেন অমিত শাহ
* কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রীয় সরকার কিভাবে মোকাবিলা করছে তাও প্রচার করা হবে
তবে, করোনা পরিস্থির মাঝে বিজেপির এই অনলাইন বৈঠকের সমালোচনা করেছে বিরোধী আরজেডি ও কংগ্রেস। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। শনিবারই সাড়ে হাজার মানুষ বিহারে করোনা সংক্রমিত বলে জানা গিয়েছে। তার মাঝেই ভোটের দামামা বাজিয়ে দেওয়াটা 'অবিবেচনামূলক' কাজ বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়াড়ি বলেছেন, 'আমাদের দলনেতা তেজস্বী যাদবও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেন। কিন্তু, বিজেপির মত সংকটের এই সময়ে ভোট নিয়ে আমরা ভাবতে পারিনা। হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরছেন। তাঁদের দেখভালকে দল গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।' বিজেপির পাল্টা হিসাবে ৯ জুন থেকেই প্রতিটি জেলায় ও ব্লকে 'গরিব অধিকার দিবস' পালন করবে আরজেডি। রাষ্ট্রীয় লোক সমতা দলের সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহাও বিজেপির পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন। কংগ্রেসের সম্পাদক চন্দন যাদব বলেছেন, 'বিজেপি ভার্চুয়াল জনসভা করছে। কংগ্রেসও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। করোনা মোকাবিলায় বিহার সরকারের অব্যবস্থার ছবি তুলে ধরা হচ্ছে।'
সমালোচনায় অবশ্য কান দিতে নারাজ গেরুয়া বাহিনী। বিরোধী শিবিরের নেতারা ইস্যু না পেয়ে প্রলাপ বকছেন বলে দাবি বিহারের বিজেপি মুখপাত্র নিখিল আনন্দের।
Read in English
দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় খবরগুলি পড়ুন এই প্রতিবেদনে