আলোচনার মাধ্য়মেই ভারত-চিন সীমান্তে বিরোধ মিটবে বলে জানালেন সেনাপ্রধান। এদিকে, নিয়ন্ত্রণরেখায় প্য়াংগং অঞ্চল নিয়ে জটিলতা এখনও অব্যাহত। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, প্যাংগং হ্রদের পরিস্থিতি এখনও বদলায়নি। অন্য়দিকে, মনমোহন সিংয়ের বাড়িতে কোয়ারেন্টিন নোটিস ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল। রাজ্য়সভার সাংসদের ট্রেনের বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ! দেশের এমনই গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ে নিন এক এক করে...
আলোচনার মাধ্যমেই ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হবে, জানালেন সেনাপ্রধান
যুদ্ধ নয়, বরং আলোচনার মাধ্য়মেই ভারত-চিন সীমান্তে সমাধানসূত্র বের করতে চান, সংবাদসংস্থা এএনআইকে শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। লাদাখে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সম্প্রতি যে টানাপোড়েনের আবহ তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে গত সপ্তাহেই তিন ঘণ্টার একটি বৈঠক হয় দুই দেশের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে।
*এখন সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এমনটাই জানান সেনাপ্রধান নারাভানে।
* তিনি বলেন, “আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে চিনের সঙ্গে আমাদের সীমান্তে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা একাধিক আলোচনা শুরু করেছি। লোকাল কমান্ডারদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠকও হয়েছে। তবে হ্যাঁ অনেক বৈসাদৃশ্য রয়েছে মতে''।
* সেনাপ্রধান আরও জানিয়েছেন, ''আমরা আশাবাদী যে কথোপকথনের মাধ্যমে ভারত ও চিন তাঁদের এই পার্থক্যগুলি মিটিয়ে নিতে সক্ষম। এখন সবটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” (বিস্তারিত পড়ুন-কথোপকথনের মাধ্যমেই ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হবে, জানালেন সেনাপ্রধান)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আলোচনা এগোলেও পরিস্থিতি না বদলানোয় ভারতের মাথাব্যথা প্যাংগং
কূটনৈতি ও সেনা পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা সরিয়েছে চিন। একই পদক্ষেপ করেছে ভারতও। কিন্তু, নিয়ন্ত্রণরেখায় প্য়াংগন অঞ্চল নিয়ে জটিলতা এখনও অব্যাহত। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, প্যাংগং হ্রদের পরিস্থিতি এখনও বদলায়নি। বরং সেখানে পাথরের বাঙ্কার তৈরি করতে শুরু করেছে চিনা সেনা। যা ভারতের মাথা ব্য়াথার অন্যতম কারণ বলেও মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনা সূত্রে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, প্রকত নিয়ন্ত্রণরেখায় অন্যান্য অঞ্চলে নিয়ে ভারতে যুক্তি চিন মেনে নিয়েছে। তবে, প্যাংগন নিয়ে এখনও তাদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ৬ই জুন উভয় দেশের সেনা কমান্ডার পর্যায়ের যে আলোচনা হয়েছিল সেখানেও প্য়াংগংকে কেন্দ্র করেই মতপার্থক্য দেখা গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে কেন্দ্র করে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ তুঙ্গে। গত ৫ ও ৬ই মে নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্যাংগংয়ে দুই দেশের সেনারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। এরপরই এলএসি-র ওপারে চিনের সমরাস্ত্র ও সেনা মজুত বৃদ্ধির পাল্টা ভারতও বাহিনী সংখ্যা বাড়াতে থাকে। গত মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘিরে ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। তারপর তা প্রশমণের উদ্য়োগ নেয় উভয় দেশ। আলোচনা এগোলেও প্য়াংগংয়ের পরিস্থিতি অবিচল রয়েছে। সেখানে ভারত-চিন সেনারা মুখোমুখি অবস্থান করছে। ওই অঞ্চলে ভারতীয় সেনাদের নজরদারিও থমকে রয়েছে।
* উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত অঞ্চলে চিনা সেনাদের উপস্থিতি নজরে আসে।
* এই অঞ্চলে আগে দু'দেশের সেনা নজরদারি চালাত।
* বর্তমানে ভারতীয় সেনাকে নজরদারিতে বাধা দিচ্ছে চিন।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, গত বছর আগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে একাধিকবার চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পাড় করে ফিঙ্গার ৮ দিয়ে এ দেশে প্রবেশ করে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতীয় সেনারা অন্য পথে ফিঙ্গার ৮-এ পৌঁছনোর চেষ্টা করে। এতে আপত্তি জানায় চিন। ওই অঞ্চলে দীর্ঘ সময়ে কর্মরত সেনার এক প্রাক্তন অফিসারের মতে, ওই অঞ্চলে উভয় পক্ষই একে অপরের নজরদারিতে বিরত করার চেষ্টা করবে - সেটা অস্বাভাবিক নয়। ভারতীয় সেনার উদ্দেশ হবে ফিঙ্গার ৮-এ পৌঁছান। অপরদিকে চিনাদের লক্ষ্য থাকবে ফিঙ্গার ৪-এ পৌঁছান। কিন্তু বর্তমানে চিনা সেনারা ফিঙ্গার ৪ ছাড়া সহ রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
মনমোহন সিংয়ের বাড়িতে কোয়ারেন্টিন নোটিস ঘিরে কৌতুহল
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাড়ির সামনে করোনাভাইরাস কোয়ারেন্টিনের নোটিসকে কেন্দ্র করে কৌতুহল। দিল্লির ৩ নম্বর মোতিলাল নেহরু প্লেসের বাড়িতে থাকেন দু'বারের প্রধানমন্ত্রী তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ মনমোহন সিং। তাঁর বাড়ির সামনে কোয়ারেন্টিন নোটিসের খবর শুনে চমকে যায় কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রবীণ রাজনীতিকের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। তবে জানা গিয়েছে সুস্থই রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
তবে কেন ডঃ মনমোহন সিংয়ের বাড়ির সামনে নোটিস দেওয়া হল? জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির এক পরিচারিকার মেয়ে করোনা আক্রান্ত। এরপরই সার্ভেন্ট কোয়ার্টারের সব বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনেও কোয়ারেন্টিনের দেওয়া হয়।
* কয়েক সপ্তাহ আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
* জ্বর হওয়ায় করোনা পরীক্ষাও করা হয়েছিল ডঃ মনমোহন সিংয়ের।
কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবারই দলের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে হয়। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ডঃ মনমোহন সিং সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
রাজ্যসভার সাংসদের ট্রেনের বিল দেখে চোখ কপালে
একই দিনে একাধিক রেলের টিকিট কেটেও তা ব্যবহার করা হয়নি। আবার তা বাতিল না করায় রেলমন্ত্রককে বিশাল টাকা দিতে হল রাজ্যসভার সচিবালয়কে। এই ঘটনায় সাংসদদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সদস্যদের সতর্ক করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদের ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের জন্য সফটওয়্যার বদলে সম্মতি দিয়েছে রেল।
দেখা যাচ্ছে, গত বছর জানুয়ারিতে প্রাক্তন এক সাংসদ ২৩ দিনে ৬৩ বার ট্রেনের টিকিট বুক করেছেন। এর জন্য খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ০০৫ টাকা। কিন্তু, সেই সাংসদ জানিয়েছেন মাত্র ৭ বার ট্রেনে যাতায়াত করেছেন তিনি। যার খরচ মাত্র ২২,০৮৫ টাকা। কিন্তু, টিকিট বাতিল না করায় খরচ মেটাতে হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে। বিল অনুসারে রাজ্যসভাকে দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২০ টাকা। এই উদাহরণ ভুরিভুরি। অন্য এক সাংসদ মোট ট্রেন বিলের মাত্র ১৫ শতাংশ যাতায়াত করেছেন।
* সাংসদদের যাতায়াতে রেলের বিল হয়েছে ৭.৮ কোটি টাকা।
* এই খরচ অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক বেশি।
* এর এক- তৃতীয়াংশ দেবে রাজ্যসভা, বাকিটা লোকসভার সচিবালয়।
* সাংসদ নিজেদের প্রাপ্য সুবিধার অপপ্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ।
সাংসদদের সতর্ক করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। ভবিষ্যতে যদি দেখা যায় কোনও সাংসদের কাটা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করেনি অথবা তাঁর বদলে অন্য কেউ ভ্রমণ করেছেন, তবে সেই টাকা সংশ্লিষ্ট সাংসদের বেতন থেকে কাটা হবে।
Read in English
দেশের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
আরও এক বছর দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কে কে বেণুগোপাল
আরও এক বছর দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে বহাল থাকবেন কে কে বেণুগোপাল। মোদী সরকারের ইচ্ছা অনুসারেই ওই পদের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। বয়েসর কথা বিবেচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কে কে বেণুগোপাল। তবে, তাঁর কাজের মেয়াদ আরও বাড়ানো হল। বেণুগোপালকে পূর্ণ মেয়াদেই ওই পদে বহাল রাখতে আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্র।
* পরের বছরই ৯০ বছরে পা দেবেন কে কে বেণুগোপাল।
* অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে চলতি মাসেই তাঁর তিন বছরের কাজের মেয়াদ শেষ হবে।
সাংবিধানিক বিভিন্ন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করেন কে কে বেণুগোপাল। সিএএ, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের মত গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সরকারের হয়ে লড়াই করেছেন তিনি।
দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ দেশের খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে