সোনিয়া গান্ধীতেই আস্থা কংগ্রেসের। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পদে থেকেই দলের হাল ধরবেন সোনিয়া গান্ধী। এদিকে, করোনা সংক্রমণে মৃতদের কেন্দ্রীয় নীতিমালা প্রণোয়ন করে দেশব্যাপী সমপরিমান ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্য়দিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ভারতে। দেশের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
কংগ্রেসের কাণ্ডারী সোনিয়াই, ৬ মাসের মধ্য়ে নয়া সভাপতি
সোনিয়া গান্ধীতেই আস্থা কংগ্রেসের। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পদে থেকেই দলের হাল ধরবেন সোনিয়া গান্ধী। প্রায় ৭ ঘণ্টার ম্য়ারাথন বৈঠকের পর সোমবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। আগামী ৬ মাসের মধ্য়ে নতুন সভাপতি নির্বাচিত করা হবে।
*উল্লেখ্য়, ২৩ নেতার চিঠি ঘিরে কংগ্রেসে রীতিমতো তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বৈঠকের শুরুতেই পদ অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন সোনিয়া।
*প্রসঙ্গত, ২ সপ্তাহ আগেই শতাব্দী প্রাচীন দলের শীর্ষ ২৩ নেতা অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে ‘পূর্ণ সময়ের দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য’ নেতৃত্বের দাবি জানিয়েছিলেন।
*এদিন এই চিঠি নিয়েই মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী। যদিও তিনি নিজে সভাপতি পদে নতুন মুখের দাবি করে এসেছেন, তাও এই চিঠি দেওয়ার সময় নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। রাহুলের দাবি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে যেভাবে দল সংকটে পড়েছিল, এবং এই একই সময় সনিয়ার যেভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়- এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব বদলের চিঠি দেওয়া উচিত হয়নি। শুধু তাই নয়, যেসব কংগ্রেস নেতারা এই চিঠি লিখেছেন, তাঁরা বিজেপিকে মদত করছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল।
*রাহুলের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সরগরম হয়ে ওঠে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। চড়া সুরে কপিল সিব্বল বলেন, ‘বিগত ৩০ বছরে আমি একবারও বিজেপির পক্ষে মুখ খুলিনি। রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার বাঁচানোর পাশাপাশি মণিপুরেও দলের হয়ে লড়ছি। সেখানে বিজেপি সরকারের পতনের জন্যে চেষ্টা চালাচ্ছি। আর আপনি বলছেন আমরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছি?’ পরে অবশ্য় সিব্বল বলেন, রাহুলের সঙ্গে তাঁর ব্য়ক্তিগত কথা হয়েছে এবং রাহুল যে একথা বলেননি সে ব্য়াপারে নিশ্চিত করেছেন। এরপরই টুইট ডিলিট করেন সিব্বল। (বিস্তারিত পড়ুন)
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
করোনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণ দানে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের আবেদন খারিজ
করোনা সংক্রমণে মৃতদের কেন্দ্রীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে দেশব্যাপী সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি অশোক ভূষণ ও আরএস রেড্ডির বেঞ্চ জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে প্রত্যের রাজ্যের পৃথক পৃথক নীতি রয়েছে। প্রতিটা রাজ্যই তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা কর ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।
*আদেনকারীর হয়ে আইনজীবী দীপক প্রকাশ কোর্টে বলেন, করোনায় মৃতদের পরিবারকে দিল্লি যখন এক কোটি ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে তখন বহু রাজ্যে মাত্র এক লক্ষ করে দেওয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে বৈষম্য দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নীতি গড়ে তোলা হোক। যার মাধ্যমে ভারতে করোনায় মৃতদের পরিবার সম পরিমান ক্ষতিপূরণ পাবে। করোনা যোদ্ধাদের মৃত্যু বিশেষ আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও দাবিন জানানো হয়।
*করোনায় মৃতদের কোন রাজ্য কত করে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তা জানান জন্য রাজ্যগুলোর থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর আর্জি জানান আবেদনকারী। যদিও তা নাকচ হয়ে গিয়েছে। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রয়োগ
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ভারতে। ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া চলতি সপ্তাহেই এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু করবে। মানব শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে কোভিশিল্ড প্রয়োগ করতে তিন-চার জায়গা স্থির করা হয়েছে।
*কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে অক্সফোর্ডের অন্তর্গত জেনার ইনস্টিটিউট। ভ্যাকসিনের সূত্রে সহায়তা করেছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পরবর্তীকালে, স্বল্প ও মধ্য আয় করা দেশগুলির জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে ভারতীয় সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
*চলতি মাসের গোড়ায় ভারতে অ্যাডভান্সড ট্রায়াল শুরু করায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ওই ট্রায়াল হবে অবজার্ভার ব্লাইন্ড, র্যান্ডম তবে নিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ, যাঁদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রক্রিয়া চালানো হবে, তাঁদের আগাম বাছাই করা হবে না। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
সরকারি পোর্টালে কাজের আবেদনকারী ও নিয়োগের সংখ্যায় বিস্তর ফারাক
অর্থনীতিতে মন্দা। বাড়ছে বেকারত্বের হার। কর্মসংস্থানের চাহিদা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদী কাজের সন্ধান দিতে সরকারি পোর্টালের সূচনা করেছিলেন। দেখা গিয়েছে, মাত্র ৪০ দিনে সেই পোর্টালে নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ৬৯ লক্ষ। কিন্তু, নথিভুক্তদের তুলনায় কাজ মিলেছে খুবই সামান্য। লকডাউন পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হলেও বর্তমানে কর্মসংস্থানই যে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় আর্থ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তা স্পষ্ট।
*গত এক সপ্তাহে (১৪-২১ অগাস্ট) সরকারি পোর্টালে ৭ লক্ষেরও বেশি নাম নথিভূক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাজ পেয়েছেন মাত্র ৬৯১ জন।
*আত্মনির্ভর দক্ষ কর্মচারী কর্মদাতা ম্যাপিং পোর্টাল অনুযায়ী ৩.৭ লক্ষ চাকরি প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ কাজ পেয়েছেন। ৬৯ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ওই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন। যার মধ্যে ১.৪৯ লক্ষ কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন এবং কাজে যোগ দিতে পেরেছেন মাত্র ৭,৭০০ জন।
*দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষদের কাজ পেতে সহায়তা করাই এই পোর্টালের লক্ষ্য। নাম নথিভুক্তকারীরা কেবল পরিযায়ী শ্রমিক নন বলেও মত মন্ত্রকের। আত্মনির্ভর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দরজি, বিদ্যুতের কর্মী, সেলাইয়েক কাজ, ফিল্ড টেকনিশয়নদের চাহিদা তুঙ্গে। এছাড়াও ক্যুরিয়ার এগজিকিউটিভ, পরিস্কারের কাজ, সেলস এগজিকিউটিভের কাজেরও চাহিদা রয়েছে। Read in English
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
ক্ষমা চাইলে বিবেকের অবমাননা হবে: প্রশান্ত ভূষণ
আদালত অবমাননার মামলায় তিনি ক্ষমা চাইবেন না, একথা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সোমবার আইনজীবী বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাইলে তাঁর বিবেকের অবমাননা হবে।
*উল্লেখ্য়, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে টুইট করার দায়ে আদালত অবমাননায় দোষী সাব্য়স্ত করা হয়েছে প্রশান্ত ভূষণকে।
* গত সপ্তাহে, প্রশান্ত ভূষণকে এ মামলায় ক্ষমা চাইতে সময় দেয় শীর্ষ আদালত। সেই সময়সীমা ছিল আজ পর্যন্ত।
* আদালত অবমাননার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শাস্তির মুখে পড়েও ক্ষমা চাইতে নারাজ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। ক্ষমা চাইলে তিনি নিজের কর্তব্য় থেকে বিচ্য়ুত হবেন বলে আদালতকে আগে জানিয়েছিলেন প্রশান্ত। (Read in English)
দেশের অন্য়ান্য় খবর পড়ুন নীচে
ভীষণ ভাবে বন্ধুর অভাব অনুভব করছি, জেটলি স্মরণে মোদী
অরুণ জেটলির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এদিন সকালে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে 'বন্ধু' বলে সম্বোধন করেন মোদী৷ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি অমিত শাহ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ টুইটে অরুণ জেটলিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন৷
*টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেছেন, 'গতবছর আজকের দিনে অরুণ জেটলিকে আমরা হারিয়েছিলাম৷ আমি ভীষণভাবে আমার বন্ধুর অভাব উপলব্ধি করছি৷ তিনি কায়মনোবাক্যে দেশের জন্য কাজ করেছেন৷ তাঁর বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা, ব্যক্তিত্ব মনে রাখার মতো৷'
On this day, last year, we lost Shri Arun Jaitley Ji. I miss my friend a lot.
Arun Ji diligently served India. His wit, intellect, legal acumen and warm personality were legendary.
Here is what I had said during a prayer meeting in his memory. https://t.co/oTcSeyssRk
— Narendra Modi (@narendramodi) August 24, 2020
*প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি অমিত শাহ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলিকে স্মরণ করে টুইট করেন ৷ টুইটে অমিত শাহ লেখেন, 'অরুণ জেটলিজি একজন অসাধারণ রাজনীতিবিদ৷ তাঁর মতো বক্তা, ভালো মানুষ ভারতীয় রাজনীতিতে বিরল৷ তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও একজন সত্যিকারের বন্ধু৷ স্বচ্ছ লক্ষ্য ও দেশের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷'
Remembering Arun Jaitley ji, an outstanding politician, prolific orator and a great human being who had no parallels in Indian polity. He was multifaceted and a friend of friends, who will always be remembered for his towering legacy, transformative vision and devotion to nation.
— Amit Shah (@AmitShah) August 24, 2020
*প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অরুণ জেটলিকে সম্মান জানিয়ে লেখেন, 'বিজেপির উত্থান ও ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন অপুণ জেটলি। আইনজীবী, সাসদ ও প্রশাসক হিসাবে তিনি ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁকে আমার অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই।'
Read in English
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে