দরিদ্র এবং চরম অসাম্যের দেশে ভারতবর্ষ। বিশ্ব অসাম্য রিপোর্ট ২০২২-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। কেন ভারত অসাম্যের দেশ, দেশের মোট জাতীয় আয়ের ৫৭ শতাংশ উপার্জন করে ১০ শতাংশ ব্যক্তি। নিচের সারির ৫০ শতাংশ মানুষ দেশের মাত্র ১৩ শতাংশ আয় করে।
এই রিপোর্ট এটাও চিহ্নিত করা হয়েছে, গত বছর করোনা অতিমারির কারণে বৈশ্বিক রোজগার অনেক কমেছে। ধনী দেশগুলির অর্ধেক আয় কমেছে এবং অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলিতে বাকি অর্ধেক কমেছে। এটার কারণ হল দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অতিমারির প্রভাব। বিশেষত, ভারতে।
অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্ব অসাম্য ল্যাবের সহ-কর্ণধার লুকাস চ্যান্সেল এবং অর্থনীতিবিদ থমাস পিকেটি, এমানুয়েল সায়েজ ও গ্যাব্রিয়েল জুকমান এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। রিপোর্টে সাফ উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ ভারতের মোট জাতীয় আয়ের ৫৭ শতাংশ রোজগার করে। নীচের সারির ৫০ শতাংশ অর্থাৎ গরিব-নিম্ন মধ্যবিত্তদের দেশের মোট আয়ের ১৩ শতাংশ নিয়েই জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের মধ্যবিত্তরা আদতেই গরিব। যাঁদের গড় সম্পদ মাত্র ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৩০ টাকা যা দেশের মোট আয়ের ২৯.৫ শতাংশ মাত্র। সেই তুলনায় দেশের প্রথম সারির ১০ শতাংশ এবং শীর্ষের ১ শতাংশ ভারতের ৬৫ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ আয় করে।
আরও পড়ুন UAE-তে কমছে সাপ্তাহিক কাজের দিন, বছর শুরুতেই সাড়ে ৪ দিন কর্মদিবস
২০২১ সালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়ের গড় বার্ষিক মোট আয় ২ লক্ষ ৪ হাজার ২০০ টাকা। বার্ষিক আয়ে দেশের নীচুস্তরের ৫০ শতাংশ মানুষ গড়ে ৫৩ হাদার ৬১০ টাকা রোজগার করে। এবং শীর্ষের ১০ শতাংশ তার কুড়ি গুণ বেশি রোজগার করে। যা প্রায় ১১ লক্ষ টাকার বেশি গড়ে।
নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বহুমুখী দারিদ্র সূচকে ভারতের প্রত্যেক চারজনের মধ্যে একজন এই ক্যাটাগরিতে পড়েন। বিহারে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা (রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৫১.৯১ শতাংশ) অত্যন্ত দরিদ্র ক্যাটাগরিতে পড়েন। তারপরেই রয়েছে ঝাড়খণ্ড (৪২.১৬ শতাংশ) এবং উত্তরপ্রদেশ (৩৭.৭৯ শতাংশ)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন