প্রায় পাঁচ দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্দেহের চোখে দেখেছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক বিদেশনীতি গভীর সতর্কতার সঙ্গে মূল্যায়ন করেছে। কিন্তু, এখন আমেরিকার সঙ্গে ভারতের একটি অন্যরকম সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ভারত তার আগের ধারণাগুলো থেকে সরে এসেছে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে এই প্রথমবার এত সরাসরি মুখ খুলে একথা জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
তিনি জানান, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের মতই অতীতের ছায়া থেকে সরে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে আগ্রহী ভারত এবং চিনও। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের অনুষ্ঠানে নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরবিন্দ পানাগরিয়ার সঙ্গে 'উদীয়মান বিশ্ব ব্যবস্থায় ভারত' বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে একথাই জানিয়েছেন জয়শংকর।
তিনি বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের মনোভাব আগে একদম অন্যরকম ছিল। ৪০ এর দশকের শেষের দিক থেকে যে বছর ক্লিনটন ভারতে আসেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে সম্পর্কটা অন্যরকম ছিল। আর, সেটা বিভিন্ন কারণে। মানে, সেটা শুধু ভারত দোষী বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দোষী ছিল, তেমনটা নয়। সত্য হল, অনেক সতর্কতার সঙ্গে, সন্দেহের সঙ্গেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দেখত ভারত। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক বিদেশ নীতিকেই যে গভীর সন্দেহের চোখে ভারত দেখত, তা নয়। তবে, গভীর সতর্কতার সঙ্গে দেখত।'
আরও পড়ুন- দেশজুড়ে এনআইএ তল্লাশি! জঙ্গি কার্যকলাপে কাঠগড়ায়, কী এই পিএফআই?
বাস্তব হল, যখন গোটা বিশ্ব সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করেছিল, তখনও দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি। এমনকী, ২০০৫-০৮ সালের পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর ছিল রীতিমতো একটি লড়াই। এই চুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কিছু সুবিধা দিয়েছিল। কিন্তু, সেই চুক্তি করার আগে যা আমাদের আটকে রেখেছিল, তা হল একটি সহজাত ঐতিহাসিকভাবে গভীরে গেঁথে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সন্দেহ। একথা জানিয়ে জয়শংকর বলেন, 'আমরা এরকমও বলেছিলাম যে পরমাণু চুক্তির বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সুবিধা একটি উপহারের ঘোড়া। আমাদের মুখের দিকে নজর রাখা জরুরি।'
Read full story in English