সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে শনিবার বলেছেন “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অত্যন্ত পেশাদার এবং বিশ্বের ‘সেরা’ বাহিনীর মধ্যে মধ্যে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে, যা প্রাক্তন সেনাদের অদম্য সাহস এবং আত্মত্যাগের ফল”। সপ্তম আর্মড ফোর্সেস ভেটেরান্স ডে উদযাপন উপলক্ষে প্রাক্তন সৈন্যদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সেনা দেশের একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। যে কোন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সদা প্রস্তুত ভারতীয় সেনা৷
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারও এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জেনারেল পান্ডে বলেন, "আজ আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের সেরা এবং অত্যন্ত পেশাদার বাহিনীর মধ্যে গণ্য হয়। এই স্বীকৃতি (বাহিনীর) আপনার আত্মত্যাগ, অদম্য সাহস এবং কঠোর পরিশ্রমের ফল”। সশস্ত্র বাহিনী আজ দেশের এক শক্তিশালী হাতিয়ার। সেনাবাহিনী যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত।"
নৌবাহিনী প্রধান তার ভাষণে বলেন, ‘আজকের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের প্রাক্তন সেনাদের প্রত্যেকের প্রচেষ্টা, দূরদর্শী নেতৃত্ব, আকাঙ্খা এবং নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টার ফসল। অ্যাডমিরাল কুমার বলেন, "এখানে উপস্থিত থাকা এবং আপনাদের সকলের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া আমার জন্য সম্মানের। আজকের দিনটি আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের স্মরণ করার এবং শ্রদ্ধা জানানোর একটি উপলক্ষও যারা জাতির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।"
আরও পড়ুন: < আচমকাই ‘হার্ট অ্যাটাক’, মৃত্যু দলের প্রবীণ সাংসদের, শোকজ্ঞাপন রাহুল গান্ধীর, ঠিক কী ঘটেছিল? >
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সেনাদের অভিনন্দনও জানান বিমানবাহিনী প্রধান। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের এয়ারম্যানদের আশ্বস্ত করতে চাই যে ভারতীয় বিমান বাহিনী সম্পূর্ণরূপে আপনার নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"। সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘এটা গর্বের বিষয় যে সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সেনারা জাতির অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল্যবান অবদান রেখেছেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রাক্তন সেনা সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
সশস্ত্র বাহিনী ভেটেরান্স দিবস ১৪ জানুয়ারি পালিত হয়। ১৯৫৩ সালের এই দিনে, ফিল্ড মার্শাল কে এম কারিয়াপ্পা, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম ভারতীয় কমান্ডার-ইন-চিফ, যিনি ১৯৪৭ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি পালিত হয় প্রথম ‘আর্মড ফোর্সেস ভেটেরান্স ডে’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, প্রাক্তন সৈন্যদের এবং তাদের পরিবারের সম্মানে ইন্টারেক্টিভ প্রোগ্রামের আয়োজন করে প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হবে। জলন্ধর, পানাগড়, নয়াদিল্লি, দেরাদুন, চেন্নাই, চণ্ডীগড়, ভুবনেশ্বর এবং মুম্বাই সহ নয়টি স্থানে পালিত হচ্ছে আজকের এই দিনটি।