জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে আকাশে উড়ছিল পাকিস্তানি হেলিকপ্টার। যে কপ্টারে ছিলেন স্বয়ং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী। নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে ভারতীয় সীমানায় পাক কপ্টারকে ঢুকতে দেখে গুলিও চালিয়েছিলেন ভারতীয় সেনারা। কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে এ দেশের সীমানায় ঢুকে পড়ল পাক কপ্টার? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। ঘটনায় পাক সেনাবাহিনীর চক্রান্তের দিকেই আঙুল তুলেছেন অনেকে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক কষেই এহেন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে খবর রটেছিল। সেই খবর পুরোপুরি উড়িয়ে দিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পর্যটন মন্ত্রী মুস্তাক মিনহাস।
এ প্রসঙ্গে মিনহাস জানিয়েছেন, "এরকম কিছুই নয়। কাঠুয়ার দিকে যখন আমরা নামলাম, তখন আমাদের সেনা আধিকারিকরা অন্য রুট দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেইমতো রাওয়ালকোট হয়ে যাই এবং ইসলামাবাদে নিরাপদে ফিরি।" উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী রাজা ফারুখ হায়দারের সঙ্গে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক এ ইনসাফ সরকারের চাপানউতোর চলছিল।
Pakistani chopper violates Indian airspace in Poonch district. https://t.co/GrFZvIFcPf
Note: The Indian Express couldn't independently verify the authenticity of this footage. pic.twitter.com/HFF7b18ojP
— The Indian Express (@IndianExpress) September 30, 2018
রবিবার দুপুরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় সীমানায় পাক কপ্টার ঢুকে পড়ে। যে খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় কূটনৈতিক মহলে। পাক কপ্টার দেশের সীমানায় বেআইনি ভাবে ঢুকে পড়ায়, কপ্টারটি লক্ষ করে গুলিও চালান ভারতীয় সেনারা। তবে সেই গুলিতে কপ্টারের কোনও ক্ষতি হয়নি। ওই কপ্টারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পর্যটনমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক। কপ্টারে শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পর্যটনমন্ত্রী বলেন, "আমরা তো কিছুই জানি না। বুঝতেই পারিনি যে আমরা নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করেছি। এও জানতে পারিনি যে, আমাদের লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। যখন আমরা নামলাম, তখন সবটা জানলাম।"
আরও পড়ুন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দিন প্রতিশোধের কথা বলে জল্পনা বাড়াল বিএসএফ
সাদা রঙের ওই পাক কপ্টারটি রবিবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিট নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। তবে এটিসি থেকে কোনও বার্তা পাইলট পাননি বলেই জানিয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পর্যটনমন্ত্রী। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, "যেহেতু কপ্টারটি ব্যক্তিগত ছিল, তাই বোধহয় এটিসি থেকে কোনও মেসেজ আসেনি। আগের রাতেই সামানি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই আমরা।"
এদিকে, কয়েকদিন ধরেই নতুন করে চাপানউতোর জম্মু-কাশ্মীরে। বিএসএফ কর্মীর হত্যা ঘিরে নতুন করে ভারত-পাক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। যা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে দুই দেশ। সেরকম প্রেক্ষাপটে এ ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।