রয়টার্স-এর সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, জনসন অ্যান্ড জনসন-এর বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস রয়েছে, সে কথা আগেই জানত সংস্থা। বুধবার রিপোর্ট প্রকাশের পর দেশের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেবি পাউডারের নমুনা বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, ড্রাগ পর্যবেক্ষকের ১০০ জন সদস্যের একটি দল বুধবার জনসন বেবি পাউডারের উৎপাদন এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক বোর্ড।
মঙ্গলবার ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রয়টার্স-এর রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তবে দেশের যাবতীয় বেবি পাউডারের ব্র্যান্ডকে নিয়ে তদন্ত করা হবে কি না, বলা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে।
প্রসঙ্গত, ভারতে বেবি পাউডারের বাজার বেশ ফুলে ফেঁপেই রয়েছে। ১৩০ কোটি গ্রাহক রয়েছে।
আরও পড়ুন, বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস, আগেই জানত জনসন অ্যান্ড জনসন?
সিডিএসসিও মুখপাত্র এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
স্যাম্পল বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য না করা হলেও গত শুক্রবার প্রকাশিত হওয়া রয়টার্সের রিপোর্ট সম্পর্কে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রিপোর্ট একতরফা, মিথ্যে এবং রঙ চড়ানো। সংস্থার তরফ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার অ্যাসবেস্টস মুক্ত এবং নিরাপদ। লক্ষাধিক পুরুষ এবং মহিলার ওপর প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে এটি ক্যানসার কিমবা অ্যাসবেস্টসজনিত রোগ ঘটায় না। হাজারের বেশি গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে আমাদের বেবি পাউডারে কোনদিনই অ্যাসবেস্টস পাওয়া ছিল না”।
অন্যদিকে, রয়টার্সের বিস্তারিত রিপোর্ট বলছে, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বেশ কিছুবার পরীক্ষা করে যাচাই করা হয়েছে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি। একাধিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল আসার পরেও সে তথ্য গোপন করেছে সংস্থা। শুধু তাই-ই নয়, প্রসাধনীতে অ্যাসবেস্টসের মাত্রা কমানোর ব্যাপারেও মার্কিন কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবিত করে আসছে জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থা।
Read the full story in English