ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) সমস্যা তৈরি হয়েছিল, আজও রয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই গালওয়ান সীমান্ত সংঘাতের একশ দিন পূর্ণ হল। কিন্তু এখনও সমাধান সূত্র কার্যত অধরাই। বুধবারই এই বিষয়ে বেজিংয়ে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক সারেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্ত্রি। লাদাখে সেনা অবস্থান নিয়ে আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র খুঁজে পেতে আগ্রহী হয় দু'পক্ষ।
বিক্রম মিস্ত্রি চিনের কমিউনিস্ট পার্টির বিদেশ সংক্রান্ত কমিটির ডেপুটি ডিরেক্টর লিউ জিনচাওয়ের সঙ্গে বুধবার বিশদে কথা বলেন।বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে টুইটে জানান হয়, "ডেপুটি জেনারেলকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি এবং ভারতের অবস্থান সম্পর্কে জানান হয়। চিনের কী দাবি ছিল তাও জানান হয়। এছাড়াও পুরো বিষয়টি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক কী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেই ক্ষেত্রটিও আলোচনায় উঠে আসে।"
আরও পড়ুন, সীমান্ত থেকে আরও দূরে সরবে না সেনা, চিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ভারতের
আধিকারিকদের মত লিউ জিনচাও রাজনৈতিক স্তরে এই বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন এবং ওঁর মাধ্যমেই চিনের প্রশাসন অন্দরে এই বিষয়টিকে জানানোর কাজ চলছে। কূটনৈতিক এবং সেনা পর্যায়ের আলোচনার পর দুই দেশ সীমান্তের অনেক এলাকা থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করলেও প্যানগংয়ে মে মাস থেকে এখনও সেনা এবং অস্ত্র মজুত রেখেছে ভারত-চিন। জানা গিয়েছে আসন্ন সপ্তাহে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আরেক রাউন্ড বৈঠকে আগ্রহী দিল্লি। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও দিনক্ষণ স্থির করেনি বেজিং।
এদিকে দেপসাং উপত্যকায় এখনও অস্থির পরিস্থিতি জারি রয়েছে। রবিবার দৌলত বেগ ওল্ডিতে ডিভিশন কমান্ডারদের একটি বৈঠক হয়। তবে কাটেনি জট। সেনা সরানো দূরে সে অঞ্চলে ভারতীয়দের টহল দেওয়ার অধিকার পুনরুদ্ধার করতেও ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা। ভারতীয় সেনাদের পাঁচটি পয়েন্টে ঢুকতে বাঁধা দিয়েছে চিনের সেনারা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন