ভারতের ঘড়িতে তখন সকাল ৮টা। শুরু হয়েছিল ভোট গণনার প্রথম পর্ব। ট্রেন্ডে কোন রাজনৈতিক দল এগিয়ে আর কারা পিছিয়ে তা তুলে ধরতে ব্যস্ত বিভিন্ন খবরের চ্যানেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। ঠিক সে সময় সুদূর প্রাচ্য আমেরিকায় ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে নটা। এদিন আমেরিকার মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপলিস হলে বড় পর্দায় তুলে ধরা হয় বেশ কিছু খবরের চ্যানেল। যেখানে সম্প্রচার হয় ভারতের নির্বাচনী ফলাফল।
এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পনামফিক বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর তথ্য প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা রমেশ নুনে। তিনিই সমস্তটা দেখভাল করেছেন। এক স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রসঙ্গত, আমেরিকার প্রথম সিনেমা হল যেখানে দেখানো হল ভারতের ভোটগণনা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি মোদী নিজের জিত নিয়ে খানিকটা হলেও নিশ্চিত ছিলেন?
আরও পড়ুন: উনিশের নির্বাচন ঘিরে বিশ্বজুড়ে টুইট-ঝড়
টিকিটের দাম ছিল ১৫ ডলার। রমেশ জানিয়েছেন তিনি মনে করেছিলেন আরও দর্শক উপস্থিত থাকবে এদিন। সেই আশা পূর্ণ না হলেও ১৫০ জন দর্শক ছিল সিনেমা হলে।
কে ভারতের মসনদে আসছে? তা নিয়ে আগ্রহ ছিল টেক্সাস, ইলিনয়, ম্যাসাচুসেটস, ফ্লোরিডা, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া এবং অন্যান্য রাজ্যের, বেশিরভাগই ভারতীয় বংশদ্ভুত আমেরিকানদের।
আরও পড়ুন: ‘চুপচাপ পদ্মে ছাপ’, বাংলায় ৪০ শতাংশ পকেটস্থ বিজেপির
বিজেপির বিদেশি সমর্থকদের মূলত নির্বাচনের ফলাফলে নজর ছিল বেশি। ভারতীয় বংশদ্ভুত আমেরিকান কৃষ্ণা রেড্ডি বলেন," আমরা খুব আগ্রহী নির্বাচনী ফলাফলের জন্য অধীর আগ্রহে ছিলাম, অনুমান করেছিলাম জয়ের মুখ দেখবে মোদী সরকার"।
সারারাত সিনেমা হলে চলেছে বুকিং পর্ব। ভারতে যখন বিকেল পাঁচটা তখনও আমেরিকার ওই হলে একটানা দেখানো হয়েছে নির্বাচনী ফলাফলের শো। উল্লেখ্য, আবারও মোদী দেশবাসীর মন জিতে নিয়েছেন। আবারও তাঁর কাঁধেই থাকবে দেশের ভার। বিরোধীদের সব কৌশল, চেষ্টাকে বিফল করে উনিশের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছে।