দুই ভারতীয় ব্যবসায়ীকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রশাসন। গুপ্তা ব্রাদার্স নামে পরিচিত রাজেশ গুপ্তা এবং অতুল গুপ্তাকে গ্রেফতার করেছে দুবাই পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসন। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সঙ্গে সম্পর্কের নাম করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
তবে তাঁদের আরও এক ভাই অজয় গ্রেফতার হয়েছেন কি না সেটা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালে গুপ্তা পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় কয়েক শো কোটির দুর্নীতি করে দুবাইয়ে গা-ঢাকা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিচার বিভাগীয় মন্ত্রক সোমবার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, "বিচার বিভাগীয় মন্ত্রক খবর পেয়েছে যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আইনশৃঙ্খলা বিভাগ পলাতক ভারতীয় ব্যবসায়ী রাজেশ এবং অতুল গুপ্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।"
আরও পড়ুন নবীকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর কু-কথার জের, কুয়েতের সুপার মার্কেট থেকে সরল ভারতীয় পণ্য, দেখুন ভিডিও
তারা আরও জানিয়েছে, "আমিরশাহী প্রশাসনের সঙ্গে প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার আমিরশাহী প্রশাসনের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতায় প্রস্তুত।"
প্রসঙ্গত, ইন্টারপোল রেড নোটিস জারি করেছিল গুপ্তা ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। মার্কিন এবং ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফেও লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। তাঁদের পলাতক বলে তকমা দেওয়া হয়েছিল। ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে রেড নোটিস জারি করে পলাতক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন নুপুর শর্মার মন্তব্যে ইসলামিক দেশগুলোর সমালোচনা, কড়া জবাব ভারতের
জানা যায়, ২০১৮ সালে জুমাকে অপসারণ করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে। তখনই এই গুপ্তা পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে পালায়। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসন রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন করেছিল, এই গুপ্তা ব্রাদার্সকে যাতে আমিরশাহী প্রশাসন তাদের হেফাজতে দিয়ে দেয়। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে কোনও প্রত্য়র্পণ চুক্তি না থাকায় বিষয়টি আটকে ছিল। গত বছর জুনে চুক্তি সম্পন্ন হয়।
উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের এই গুপ্তা পরিবার নয়ের দশকে দক্ষিণ আফ্রিকায় জুতোর ব্যবসা শুরু করে। তার পর ধীরে ধীরে তথ্যপ্রযুক্ত ব্যবসা, মিডিয়া, খনি-সহ একাধিক ব্যবসায় নামে তাঁরা। বর্তমানে সবকটিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বা বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কুকীর্তিতে নাম জড়ায় ভারতের ব্যাঙ্ক অফ বরোদারও। পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা বন্ধ করে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা।