মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পর কেন্দ্রের তরফে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির সুরক্ষা পেয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত। তার মধ্যেই বান্দ্রাতে তাঁর অফিস ভাঙতে যায় বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। তড়িঘড়ি চণ্ডীগড় থেকে মুম্বইয়ের বিমান ধরেন কঙ্গনা। সেই বিমানে কোভিড প্রোটোকল ভেঙে হট্টগোল-অশালীন আচরণ করেছিলেন বেশ কয়েকজন সাংবিদক। কঙ্গনার পিছু নিয়ে তাঁরাও বিমান সওয়ার হন। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ডিজিসিএ দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলে বিমান সংস্থা ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সকে। এবার দোষ প্রমাণ হওয়ায় ৯ সাংবাদিকের উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ইন্ডিগো।
এই মুহূর্তে দেশের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থা তাদের অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিমানের মধ্যে অশালীন আচরণ ও দুর্ব্যবহার করার জন্য ওই ৯ সাংবাদিকের ১৫ দিনের জন্য উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়-মুম্বই ফ্লাইটে অভিনেত্রী কঙ্গনার সঙ্গে উঠেছিলেন ওই সাংবাদিক এবং চিত্রসাংবাদিকরা। জনৈক একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেন যাতে দেখা যায়, কীভাবে কোভিড প্রোটোকল ভাঙেন সাংবাদিকরা। দূরত্ববিধি না মেনে সহযাত্রীদের গায়ের উপর উঠে পড়ার ঘটনাও ঘটে। এরপরই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে ডিজিসিএ। বিমান সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে জানায়, বিমানে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ করা বাধ্যতামূলক। যদি কোনও নিয়ম ভাঙা হয় তাহলে উড়ান দু সপ্তাহের জন্য ব্যান করা হবে। তবে যদি বিমান সংস্থা কড়া পদক্ষেপ করে তাহলেই শাস্তি মকুব করা হবে।
আরও পড়ুন ‘মহারাষ্ট্র সরকার আমাকে জেলে ঢোকানোর ষড়যন্ত্র করছে’, FIR নিয়ে বিস্ফোরক কঙ্গনা
এরপর ইন্ডিগো ডিজিসিএ-র কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। তাতে বলা হয়, বিমানে সংস্থার কেবিন ক্রু সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মানতে বলেছিলেন। এমনকী বিমানে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ সেকথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি। এরপর একটি কমিটি গঠন করে ইন্ডিগো। সেই কমিটির রিপোর্টেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান সংস্থা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন