ইন্টারনেট বর্তমান যুগে যোগাযোগের শক্তিশালী মাধ্যম। কিন্তু, এর থেকেই বহু সময় ছড়িয়ে পড়ছে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশ বিরোধী কাজ, ভুয়ো খবর, মানহানিকর পোস্ট, রোখার উদ্দেশে নিয়মাবলী তৈরির জন্য আরও তিন মাস সময় চাইল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে সরকারের তরফে হলফনামা জমা দেওয়া হয়।
সামাজিক মাধ্যমে মাঝে মধ্যেই বহু মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে, যার থেকে পরে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। সেই বার্তার সূত্রপাত কে করল বা তার উৎপত্তি কোথা থেকে, তা জানা এখনও বেশ কঠিন। এবিষয়ে কেন্দ্রকে পদক্ষেপ করতে বলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: ‘ভারতের সঙ্গে ডাক যোগাযোগ বন্ধ করে আন্তর্জাতিক নিয়ম ভেঙেছে পাকিস্তান’
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অবলম্বন করা এবং অবৈধ কাজকর্ম রুখতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নির্দিষ্ট শর্তাবলী তৈরি করতে গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহ সময় বরাদ্দ করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে সোমবার তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের আইনজীবী রজত নাইয়ারের তরফে হলফনামা জমা করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের পোস্টের সংখ্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার স্বার্থে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় ফের গেরুয়াঝড়! ইঙ্গিত এগজিট পোলের
এছাড়াও বলা হয়, বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করে ২০১১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের সংশোধন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংশোধিত আইনের একটি খসড়া প্রকাশ করা হয় মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। যা পড়ে বহু মানুষ মন্তব্য করেছেন। চূড়ান্ত আইনে সে বিষয়গুলিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে আধার লিংক সংক্রান্ত মামলা জমে রয়েছে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে। এই মামলাগুলির রায়ের প্রভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করবে বলে সেগুলি শীর্ষ আদালতে শুনানির ব্যবস্থা করার জন্য পরে আবেদন জানায় দুই জনপ্রিয়তম সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। শীর্ষ আদালতে সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার। সেখানেই কেন্দ্রের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রবিরোধী কাজ রুখতে আইন তৈরির জন্য সময় চাওয়া হয়।
Read the full story in English