দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কের পর গাজিপুর সীমান্তের কাছে রাস্তার উপর পোঁতা গজাল-পেরেক তুলে নিল পুলিশ। কৃষকরা যাতে গাজিপুর সীমান্ত পার করে দিল্লিতে ঢুকতে না পারেন, সেই জন্য রাস্তার উপর সিমেন্টের বোল্ডার-কাঁটাতার বিছানোর পাশাপাশি কংক্রিটের ঢালাইয়ের মধ্যে গজাল-পেরেক পুঁতেছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু বিতর্কের জেরে সেগুলি তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক।
বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের তরফে একটি ভিডিও টুইট করা হয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে, পুলিশকর্মীরা রাস্তা থেকে সেই পেরেক তুলে নিচ্ছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দিল্লির পুলিশ কমিশনার (পূর্ব) দীপক যাদব জানিয়েছেন, পেরেক তুলে নিলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা একইরকম থাকছে। এদিকে, ইতিমধ্যে দিল্লি সীমান্তে জমায়েত শুরু করেছে ট্র্যাক্টর আর চার চাকার গাড়ি। প্রায় ৫০ হাজার জমায়েতের সম্ভাবনা। এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন থুনবার্গের বিরুদ্ধে FIR দিল্লি পুলিশের, ‘এখনও কৃষকদের পাশে’ ট্যুইট গ্রেটার
প্রসঙ্গত, এই আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন পপ স্টার রিহানা এবং পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। পাশাপাশি সমর্থন করে সুর চড়িয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাইঝি। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও সমর্থনের ধার বাড়ায় আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী কৃষক নেতারা। এমনটাই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন “দীপ সিধু বিজেপির লোক, দিল্লির হিংসা ওঁরই কারসাজি!”, সংসদে সরব বিরোধীরা
অন্যদিকে, এদিন সকালে ১০টি দলের ১৫ জন সাংসদ গাজিপুরে অবস্থানরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকায়। সেই দলে ছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সৌগত রায়, সুপ্রিয়া সুলে, কানিমোঝি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরৎ কৌর বাদল-সহ অন্যরা। পুলিশ সাংসদদের সীমান্তে আটকে দিলেও শিরোমণি অকালি দল সাংসদ হরসিমরৎ কৌর বাদল বলেন, ‘এই আলোচনা আমরা সংসদে করতেই পারতাম। কিন্তু অধ্যক্ষ করতে দিচ্ছেন না। তাই এখনকার চিত্র আমরা সংসদে তুলে ধরতে চাই।’