Bangladesh Crisis : বাংলাদেশ জুড়ে যেন ডাল-পালা মেলেছে হিন্দু বিদ্বেষ। কলকাতা দখলের ডাকের পর সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এর মাঝেই কলকাতা ইসকনের মুখপাত্র রাধারমন দাস বলেছেন প্রতিবেশী দেশে ইসকন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাদের দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ইসকনের কলকাতা ইউনিটের সহ-সভাপতি রাধারমন দাস শুক্রবার বলেছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলার কারণে বাংলাদেশে সংগঠন এখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। কলকাতায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, রাধারমণ দাস সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি ফের একবার তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, অনেক মৌলবাদী সেদেশের ইসকনকে উপড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন। বাংলাদেশি মৌলবাদীদের এই ধরণের বিবৃতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি । দাস বলেন, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের মন্তব্য অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। রাধারমন দাস আশা প্রকাশ করেন যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
ইসকনের অনেক সম্পত্তি আক্রমণ করা হয়েছে - রাধারমন
কলকাতা ইসকন এর মুখপাত্র রাধারমন দাস বলেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে ইসকনের অনেক সম্পত্তিতে হামলা হয়েছে। অনেক মন্দিরে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ইসকন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ
শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজউদ্দীন আহমেদ সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি যুবককে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। এপ্রসঙ্গে রাধারমন দাস বলেন, 'এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে না, বরং মৌলবাদীদের উৎসাহিত করবে।'
কলকাতা দখলের ডাকের পর ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা, বিএনপি নেতার প্রকাশ্য হুঙ্কার
'চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলার সুষ্ঠু বিচার আশা করছি'
বাংলাদেশে চলমান হিংসা আবহে বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন যে বাংলা, বিহার ও ওড়িশা ফিরিয়ে দেওয়ার বাংলাদেশের দাবি বৈধ । এ বিষয়ে ইসকনের মুখপাত্র বলেন, 'আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার সেদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। আমরা আশা করি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস অবিলম্বে মুক্তি পাবেন এবং সুষ্ঠু বিচার পাবেন। এদিকে, শুক্রবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি এবং প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবিতে ভারতের নানান প্রান্তে বেশ কয়েকটি স্থানে সমাবেশ করেছে একাধিক হিন্দু সংগঠন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার লাগামছাড়া। গত চার মাসে সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ২০০ টিরও বেশি হামলা হয়েছে।