তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সোমবার তিনি কেরলের কান্নুর জেলার চাম্পাদ গ্রামে তাঁর গণিতের শিক্ষিকা রত্না নায়ারের বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন। রাজস্থানের চিতোরগড় সৈনিক স্কুল থেকে ১২ ক্লাস পাস করেছেন জগদীপ ধনখড়। সেই পাস করার ৫৩ বছর পরে তিনি তাঁর গণিত শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করলেন। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের দিনই ধনখড় তাঁর শিক্ষিকাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কেরলে যাবেন। আর, সেই সময় রত্না নায়ারের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। এর মধ্যে কেরলে দু'দিনের সফরে যান ধনখড়। সেই সময় সোমবার তিনি নায়ারের বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনখড়ও।
রত্না নায়ারের বয়স বর্তমানে ৮৩। ধনখড় তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। রত্না নায়ারকেও দেখা যায় হাত ধরে সস্নেহে ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে। ধনখড়ের স্ত্রী সুদেশকেও স্বামীর শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। ৮৩ বছরের শিক্ষিকা, তাঁর রান্নাঘরে রাখা নারকেল, চিপস আর ইডলি দিয়ে সস্ত্রীক প্রাক্তন ছাত্রকে আপ্যায়ন করেন। গত ৫৩ বছর ধরে নায়ার দূর থেকে তাঁর ছাত্রের উত্থান দেখেছেন। আইনজীবী থেকে সাংসদ, উপরাষ্ট্রপতি হওয়া- সবের সাক্ষী হয়েছেন। দেশের উপরাষ্ট্রপতি হয়েও সেই ছাত্র তাঁকে ভুলে যাননি। এটাই যেন ৮৩ বছরের শিক্ষককে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে।
রত্না নায়ার বললেন, 'একজন শিক্ষক তাঁর ছাত্রের কাছ থেকে যা পেতে পারে, এটাই সেই সবচেয়ে বড় গুরু দক্ষিণা (শিক্ষকের জন্য উপহার)। শিক্ষার্থীরা যখন জীবনের উচ্চ অবস্থানে পৌঁছয়, তখনও তাঁদের শিক্ষকরা এতে খুশি হন এবং গর্বিত হন। আমার ছাত্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মত শব্দ আমার কাছে নেই।' সস্ত্রীক উপরাষ্ট্রপতি সোমবার এক বিশেষ বিমানে কান্নুর গিয়েছিলেন। প্রায় আধঘণ্টা তিনি তাঁর শিক্ষিকার বাসভবনে কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ISIS-এ যোগ দিতে আবু ধাবি থেকে নিখোঁজ, কেরলের প্রৌঢ়ের মৃত্যু পাকিস্তানের জেলে
পরে ধনখড় টুইট করেন, 'একজন গুরুর নির্দেশ এবং করুণা হল ঠিক কম্পাসের মত। যা একজনের জীবনের গতিপথকে চালিত করে। আজকে কেরলের বাসভবনে চিতোরগড়ের সৈনিক স্কুলের দিন থেকে যিনি আমার শিক্ষিকা ছিলেন, সেই মিসেস রত্না নায়ারের সাথে দেখা করে আমি রীতিমতো কৃতজ্ঞ।' মিসেস নায়ার ছাড়াও তাঁর ভাই বিশ্বনাথন নায়ার, তাঁর মেয়ে নিধি, জামাই মৃদুলও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর স্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে মিসেস নায়ারের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। বিধানসভার স্পিকার এএন শামসেরও ধনখড়ের সঙ্গে ছিলেন।