দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার ঘটনায় ধৃত ৫ জনকে পুলিশি হেফাজতের এবং অন্য ৪ অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার মোট ৯ অভিযুক্তকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোহিণী আদালতে হাজির করা হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) সতভীর সিং লাম্বা অভিযুক্ত আনসার, সেলিম, আহির, দিলশাদ এবং সোনুকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১ মে ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হবে।
পুলিশ এদিন আদালতকে জানিয়েছে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেই সঙ্গে ধৃতদের আট দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আদালত এনএসএ-এর অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ অভিযুক্তকে আট দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে, অন্য ৪ অভিযুক্তকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হনুমান জয়ন্তীর ধর্মীয় মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রে চেহারা নিয়েছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী। দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সফরের কয়েক ঘণ্টা আগেই জম্মুর গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ
জাহাঙ্গিরপুরীতে হমুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশাল মিছিল বেরিয়েছিল। সেই মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ায় অভিযোগ উঠেছে। তারপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছুক্ষণ করে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এর আগেই দিল্লি পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা সাফ জানিয়েছিলেন, দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াতে নিষেধ করেছেন তিনি। বলেছেন এজাতীয় গুজব ছড়ানো বরদাস্ত করা হবে না। পাশাপাশি গুজবে কান না দিতেও আবেদন জানিয়েছেন দিল্লির বাসিন্দাদের কাছে।