রূপকথার বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই সম্পর্কে ছেদ পড়ল। দুই আইএএস আধিকারিক টিনা দাবি ও আতহার আমির খানের বিবাহ বিচ্ছেদে সিলমোহর দিল জয়পুরের পারিবারিক আদালত। গত নভেম্বরে পারস্পরিক সম্মতিতে আদালতে ডিভোর্সের মামলা করেন তাঁরা। বুধবার বিচ্ছেদে স্বীকৃতি দিয়ে দিল আদালত।
২০১৮ সালে দুই আইএএস-এর বিয়ে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় দেশে। ভিনধর্মী দুজনেই আইএএস পাশ করেন। সাফল্যের সঙ্গে গোটা দেশে প্রথম হয়েছিলেন টিনা, দ্বিতীয় হন আমির। মুসৌরিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় কাশ্মীরের অনন্তনাগের আমিরের দেখা হয় ভোপালের টিনার। সেখানেই প্রেমের শুরু। তিন বছর পর ২০১৮ সালে প্রেম পরিণতি পায়। বিয়ে করেন টিনা-আমির। দুজনের বিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়েছিল। তবে এই নিয়ে বিরোধের মুখেও পড়েন তাঁরা।
আরও পড়ুন দুঁদে আইপিএস নেচে মাতালেন মঞ্চ, ভিডিও ভাইরাল হতেই কুর্নিশ নেটিজেনদের
তবে মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়েতে হাজির ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু-সহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দুজনকেই রাজস্থানে পোস্টিং দেওয়া হয়। পরে শ্রীগঙ্গানগরের জেলা পরিষদের সিইও হন টিনা। আর আমির জয়পুরে পোস্টিং পান। গত বছর নভেম্বরে পারস্পরিক সহমতিতে বিচ্ছেদের মামলা করেন তাঁরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন