জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কীভাবে অজস্র পুলিশকর্মীর উপস্থিতিতে এক ১৭ বছর বয়সী যুবক গুলি চালিয়ে এক পড়ুয়াকে জখম করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা তথা ওয়ানাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী। সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, "জামিয়ার বন্দুকবাজকে কে টাকা দিয়েছে?"
বৃহস্পতিবার মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে টুইটারে কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, "আমি আপনাদের হিংসা শেখাতে পারব না, যেহেতু আমি হিংসায় বিশ্বাসী নই। আমি শুধু শেখাতে পারি যে কারোর সামনে মাথা নত করবেন না, প্রাণের বিনিময়েও না।"
জামিয়ার প্রতিবাদ সভায় ওই বন্দুকবাজ, যাকে ১৭ বছরের নাবালক বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ বন্দুক বের করে সকলকে শাসাতে থাকে, এবং স্লোগান দেয়, "ইয়ে লো আজাদি (এই নাও আজাদি)", "দেশ মে জো রহনা হোগা, বন্দেমাতরম বোলনা হোগা (দেশে থাকতে গেলে বন্দেমাতরম বলতে হবে)", এবং "দিল্লি পুলিশ জিন্দাবাদ"। এর পরেই গুলি চালায় সে। পুলিশ যখন তাকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন সে নিজেকে "রামভক্ত" বলে পরিচয় দেয়।
আরও পড়ুন: আলিগড়ের পড়ুয়াদের উস্কানির অভিযোগে গ্রেফতার কাফিল খান
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম জামিয়া কাণ্ডের দিনই দিল্লির নগরপাল, অর্থাৎ পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়কের মেয়াদ একমাস বাড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। টুইটারে চিদাম্বরম লেখেন, "বড়সড় পুলিশ বাহিনীর সামনে গুলি চালানোর ঘটনার দিনই দিল্লির পুলিশ কমিশনারের মেয়াদ বাড়ানো হয়... ধারণাতীত এবং নিন্দনীয়। একজনের নাহয় মেয়াদ বাড়ানো হলো, কিন্তু কালকের ওই জঘন্য ঘটনার জন্য কাকে বরখাস্ত করা হলো?"
জামিয়ার বাইরে গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সরকার এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করে না, এবং আশ্বাস দেন যে অপরাধীকে রেয়াত করা হবে না। "আজ আমি দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি জামিয়ায় ফায়ারিংয়ের ঘটনা সম্পর্কে এবং নির্দেশ দিয়েছি যেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করবে না। এটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, অপরাধীকে রেয়াত করা হবে না," টুইট করে জানান শাহ।