জম্মু-কাশ্মীরে অশান্তির রেশ যেন কাটছেই না। ভূ-স্বর্গে জঙ্গি হানার খবর এখন যে রোজনামচা হয়ে গেছে তার আবারও প্রমাণ মিলল। মঙ্গলবার রাতে ফের গুলির আওয়াজে থমথমে পরিবেশ তৈরি হল জম্মু-কাশ্মীরে। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আবারও রক্ত ঝরেছে জম্মু-কাশ্মীরে। কুলগামে গুলির লড়াইয়ে দুই বাসিন্দা ও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ২ কর্মী জখম হয়েছেন এই গুলির লড়াইয়ে।
এলাকায় জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, এই খবর পেয়েই মঙ্গলবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরই এলাকায় গুলির লড়াই শুরু হয় বলে জানা গেছে। জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে প্রথমে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩ কর্মী জখম হন। পরে জখম অবস্থায় হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয় বলে খবর। জঙ্গি-নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে স্থানীয় বাসিন্দারা পাথর ছোড়ে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেইসময় সংঘর্ষে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জখম হন। পরে হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সী এক স্থানীয় যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। যে বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল বলে খবর, সেখানে সেনা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। যার জেরে ২টি বাড়িতে আগুন লেগে যায়।
আরও পড়ুন, সাপে-নেউল, কুকুর-বিড়াল সব এক হয়েছে: অমিত শাহ
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গেছে, গুলির লড়াই চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম ও অনন্তনাগ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শ্রীনগর-বানিহাল রুটে ট্রেন চলাচলও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গত সপ্তাহেই সোপিয়ান ও অনন্তনাগে তিনটি আলাদা গুলির লড়াইয়ের ঘটনায় ১২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। অন্য একজনকে আটক করা হয়েছিল। এই ঘটনায় ৩ জন সেনা জওয়ান ও ৪ স্থানীয় বাসিন্দারও মৃত্যু হয়েছিল।
একদিকে যেমন জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান চালাচ্ছে সেনা। ঠিক তেমনই বারবারই সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাক সেনা। যে ঘটনাও ভাবাচ্ছে ভারতীয় সেনাকে। গতবছরই পাক সেনাদের দমন করতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারত। যে ঘটনার পর দু’দেশের সম্পর্ক অন্যদিকে মোড় নেয়।