Advertisment

জঙ্গিদের মূলস্রোতে ফেরাতে চাকরি-মাসিক ভাতার প্রস্তাব জম্মু-কাশ্মীর সরকারের

বন্দুক, গোলাগুলি ছেড়ে জঙ্গিদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে বিশেষ নীতি গ্রহণ করেছে সে রাজ্যের সরকার। জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করে মূলস্রোতে ফিরলে চাকরি, ৬ হাজার টাকা মাসিক ভাতার মতো সংস্থান রয়েছে ওই নীতিতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
satya pal malik, সত্যপাল মালিক

জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

‘‘সরকারের আত্মসমর্পণ নীতিটি ভাল। (জঙ্গিরা) সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুক’’, পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে এই বার্তাই দিয়েছিল সেনা। উপত্যকায় সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবার সেই আত্মসমর্পণ নীতি নিয়ে অগ্রসর হল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। বন্দুক, গোলাগুলি ছেড়ে জঙ্গিদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে বিশেষ নীতি গ্রহণ করেছে সে রাজ্যের সরকার। জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করে মূলস্রোতে ফিরলে চাকরি, ৬ হাজার টাকা মাসিক ভাতার মতো সংস্থান রয়েছে ওই নীতিতে। জঙ্গিদের এই আত্মসমর্পণ নীতির খসড়া পর্যালোচনা করছেন খোদ রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।

Advertisment


আরও পড়ুন, পুলওয়ামা হামলার চক্রী নিহত

আত্মসমর্পণ নীতির প্রসঙ্গে সরকারের উপদেষ্টা কে বিজয় কুমার জানিয়েছেন, খসড়া নথিটি আপাতত খতিয়ে দেখছে রাজ্য প্রশাসন। এক্ষেত্রে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর ও মুখ্যসচিবের অনুমোদন লাগবে। খসড়া পত্রে বলা হয়েছে, বন্দুক ছেড়ে যেসব জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চাইবে, তাদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার। মাসিক ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে ৬ হাজার টাকা। তবে যেসব জঙ্গিরা নৃশংস অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের পুনর্বাসনের জন্য বিবেচনা করবে না প্রশাসন।

আরও পড়ুন, পুলওয়ামা হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানই, দাবি সেনার

জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি কে রাজেন্দ্র বলেছেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে আত্মসমর্পণ নীতির সফল বাস্তবায়ন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, প্রচুর সংখ্যক জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে(প্রায় ২৫ হাজার)।’’ তাঁর মতে, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ভাল হলে, তা দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসবে। প্রাক্তন ডিজিপি আরও বলেছেন, ‘‘রাতারাতি মিরাক্যাল হবে না। বাস্তবায়িত করতে সময় লাগবে।’’

উল্লেখ্য, এর আগে সেনার তরফে কনওয়ালজিৎ সিং ধিঁলো বলেছিলন, “কাশ্মীরের সব মায়েদের অনুরোধ করছি, যাঁদের সন্তানরা সন্ত্রাসবাদে যুক্ত, তাদের আপনারা আত্মসমর্পণ করতে বলুন। সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসতে বলুন ওদের। কেউ হাতে অস্ত্র তুলে নিলে, আমরা তাকে নিশ্চিহ্ন করব। কাশ্মীরে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।”

আরও পড়ুন-  উপত্যকায় খবরের কাগজের হরফহীন প্রতিবাদ, কাঠগড়ায় ‘সরকারি বৈষম্য’

এর আগে, ২০০৪ সালে পিডিপি সরকারের আমলে পুনর্বাসন নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই নীতিতে বলা হয়েছিল, হিংসার পথ ছেড়ে যেসব জঙ্গিরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসবে, তাদের সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, তাদের কাউন্সেলিংয়ের কথাও বলা হয়েছিল। এজন্য কাউন্সেলিং সেন্টার খোলার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। জঙ্গিদের স্ত্রী ও সন্তানদেরও তিন মাস বা এর থেকে বেশি সময় কাউন্সেলিং করার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রথম তিনমাসের জন্য মাসিক ২ হাজার টাকা ভাতার কথা বলা হয়েছিল এই নীতিতে।

Read the full story in English

jammu and kashmir
Advertisment