সীমান্তে আবারও পাক উসকানি। পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা ড্রোন গুলি করে নামাল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। উড়ে আসা ওই ড্রোন থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের প্রবল আশঙ্কা করছে পুলিশ। সীমান্তের ওপার থেকে এপারে কাদের উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরক পাঠানো হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রবিবার ভোরে কাশ্মীরের হীরানগর সেক্টরের কাঠুয়ার হরিয়া চক গ্রামে উড়ে আসে ড্রোনটি। আকাশে ড্রোনটি উড়তে দেখা মাত্র গুলি করেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। মুহূর্তের মধ্যে সেটি মাটিতে ভেঙে পড়ে। ড্রোনের পেলোড থেকে সাতটি ম্যাগনেটিক বোমা এবং সাতটি ইউবিজিএল গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। বাড়তি পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কাঠুয়ার হরিয়া চক গ্রামে টহল দিচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। পাক সীমান্ত ঘেঁষা এই এলাকা বরাবরই স্পর্শকাতর। অতীতেও এই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। তবে বর্তমানে সেনা-পুলিশের যৌথ নজরদারিতে অনুপ্রবেশের ঘটনা অনেকটাই কমেছে। এদিন রুটিন টহলদারির সময়েই পাকিস্তান থেকে একটি ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের ওই এলাকায় উড়ে আসতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। ড্রোনটি দেখা মাত্র গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন তাঁরা। শেষমেশ ড্রোনটি গুলি করে নামাতে সক্ষম হন পুলিশকর্মীরা।
আরও পড়ুন- নারী সুরক্ষায় তৎপর উত্তরপ্রদেশ, মহিলাদের নাইট শিফটে কাজ নিয়ে জারি নয়া নির্দেশিকা
উপত্যকায় ড্রোন উড়ে আসার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একধিকবার পাকিস্তান থেকে ড্রোন উড়ে এসেছে উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায়। কখনও ড্রোনে মাদক পাচারের চেষ্টা হয়েছে কখনও আবার জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য পাঠানো হয়েছে বিস্ফোরক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উপত্যকার সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে পুলিশ-সেনার যৌথ প্রহরা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। যার জেরেই মিলছে সাফল্য। এদিন এই ড্রোনটি উড়ে আসার পিছনেও জঙ্গি কার্যকলাপের চেষ্টা রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Read story in English