মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩। রোপওয়েতে আটকে থাকা এক মহিলাকে উদ্ধারের সময় ফের বিপত্তি। উপর থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ওই মহিলার। এর আগে গত সন্ধেয় দুর্ঘটনায় জখম আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। সব মিলিয়ে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার জেরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারগুলি ৪০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দেওঘরের ত্রিকুট পাহাড়ে কেবল কারের মধ্যে আটকে থাকা ১৫ পর্যটকের মধ্যে ১০ জনকে উদ্ধার করেছে। সোমবার গভীর রাতে উদ্ধারকাজ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওঘরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ত্রিকুট পাহাড়ে ৭৭০ মিটার উচ্চতায় দুর্ঘটনার জেরে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মারাত্মক এই দুর্ঘটনার জেরে আহত ১২ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে, ত্রিকুট পাহাড়ে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, এখনও ৫০ জনেরও বেশি পর্যটক মাঝ আকাশে আটকে রয়েছেন। তবে প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভারতে বাড়ছে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ ঘটনা, কড়া নজর আমেরিকার, হুঁশিয়ারি মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেটের
প্রসানিক কর্তা ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দুলতে থাকা একটি কেবল কারের ভিতরে একজন মহিলা গুরুতর আহত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। রোপওয়েতে আটকা থাকা অনেক পর্যটকের কাছে পৌঁছতেই পারেননি উদ্ধারকারীরা। সেই কারণেই তাঁদের খাবার বা জল দেওয়া যায়নি।
তবে আটকে পড়া পর্যটকদের প্রত্যেককে উদ্ধারে সচেষ্ট প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (ITBP), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF) এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভারতীয় বায়ুসেনা পুরোদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
Read story in English