Hemant Soren lodges FIR against ED officials: ৬০০ কোটি টাকার জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির তল্লাশিতে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষিতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অভিযোগে তফশিলি আইনে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন হেমন্ত সোরেন। বুধবার দুপুরে জমি দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা শুরু করে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। তার পরেই হেমন্ত সোরেন রাঁচি থানায় অভিযোগ দায়ের করে ইডির বিরুদ্ধে।
গত ২৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের দিল্লির বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এই এফআইআর দায়ের বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি, বিরাট নির্দেশ আদালতের
রাঁচির এসএসপি চন্দন সিনহা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন যে, ইডি আধিকারিকরা তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে তাঁকে আগে থেকে না জানিয়েই তাঁর দিল্লির বাসভবনে পৌঁছন এবং মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন। এই পুলিশকর্তার কথায়, 'হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নির্দেশে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে তিনি বলেছিলেন যে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন ইডি অফিসারেরা। এই অফিসারেরা আগাম কোনও তথ্য ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনে পৌঁছেছিল এবং মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছিল।'
আরও পড়ুন- Budget 2024: বাজেট কেমন, বিনা সাহায্যে বুঝতে চান? তাহলে এগুলোয় নজর রাখুন
৬০০ কোটি টাকার জমি দুর্নীতি মামলায় তেড়েফুঁড়ে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্ত সোরেন অবশ্য বার বার দাবি করে এসেছেন, তিনি এক বিরাট বড় ষড়যন্ত্রের শিকার। আর এসবের মধ্যেই রাঁচির রাজনীতির অলিন্দে একটি বিষয়ট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর তা হল ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, হেমন্ত সোরেনকে নিয়ে যদি বড়সড় কোনও পদক্ষেপ করে ইডি, সেক্ষেত্রে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা সোরেন।
তাহলে কি কোনও বড়সড় কিছু ঘটার আশঙ্কা করছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতারা? এই নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কারণ, গতকালই সন্ধেয় রাঁচিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের পাশাপাশি, বন্ধু শিবির কংগ্রেস ও আরজেডির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেখানে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জোটের সব বিধায়করা এতে সহমতও হয়েছেন, কারণ এই সময়ে সরকার টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি। যদিও অপর একটি বৈঠক সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা সোরেনের ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।