Advertisment

ছেলের বৌভাতে মাংস! ঝাড়খণ্ডে মারধরের অভিযোগ, ধৃত ৭, জারি ১৪৪ ধারা

ছেলের বৌভাতে গবাদি পশুর মাংস পরিবেশন করা হয়েছে, এই সন্দেহে ঝাড়খণ্ডে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামের একাংশের বিরুদ্ধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jharkhand lynching

ঝাড়খণ্ডে গবাদি পশুর মাংস নিয়ে ধুন্ধুমার। ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আবারও  গোরক্ষকদের বর্বরোচিত মুখ। ছেলের বৌভাতে গবাদি পশুর মাংস পরিবেশন করা হয়েছে, এই সন্দেহে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে।  গত মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলার দোমচাঁচ থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে ।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে ছেলের বৌভাতের আয়োজন করেছিলেন জুমান মিঞা। পরদিন সকালে গ্রামের কয়েকজন পশু মাংসের হাড়গোড় দেখতে পান। এরপরই গ্রামে রটে যায় যে গবাদি পশুর মাংস খাওয়া হয়েছে। ওই রাজ্যে গবাদি পশুর মাংস নিষিদ্ধ হওয়ায়, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে নালিশ জানানো হয়। এর মধ্যেই আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা এলাকায় জড়ো হন। দোমচাঁচ থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন,দুই দলিত কিশোরী ও এক মুসলিম কিশোরের রহস্যমৃত্যু রাজস্থানে

গবাদি পশুর মাংস খাওয়া হয়েছে এই সন্দেহে জুমান মিঞা নামে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বছর পঞ্চাশের জুমানের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলের পাশে একটি ধর্মীয় স্থানের মাইকও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরই এলাকায় পুলিশের আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেসময়ে আচমকাই উত্তেজিত জনতা পাথর ছোড়া শুরু করে। বেশ কয়েকটি বাইকে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। জনতার রোষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩টি গাড়ি ও ২টি অটো।

Advertisment

আরও পড়ুন,ফের ধর্ষণ করে খুন শিশুকে, এবার উত্তরপ্রদেশ

এরপর জুমানের বাড়ির পাশাপাশি  আরও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠি চালায়। এ ঘটনায় জুমান মিঞা ছাড়াও মহম্মদ ইজরায়েল নামে আরও এক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না হয়, সেজন্য ১৪৪ ধারার জারি করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় গিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ও ডেপুটি কমিশনার। জনতার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারক সাহায্যের জন্য উদ্যোগী হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও।
তবে আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। আদৌ জুমানের ছেলের বিয়েতে নিষিদ্ধ মাংস পরিবেশন করা হয়েছিল কিনা, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সুপার। গবাদি পশুর ক্ষুরসহ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবিও দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

national news
Advertisment