জন্মের আগেই চমৎকারিত্বের শিরোপা পেয়ে গেল জিও ইনস্টিটিউট। এখনও তৈরিই হয়নি আম্বানিদের এই প্রতিষ্ঠান। অথচ তার আগেই ‘ইন্সটিটিউট অফ এমিনেন্স’-এর তকমা সেঁটে গেল জিও ইন্সটিটিউটের গায়ে। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোমবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে তিনটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি ইন্সটিটিউটকে ‘ইন্সটিটিউট অফ এমিনেন্স’ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ওই তিনটি বেসরকারি ইনস্টিটিউটের মধ্যে নাম রয়েছে জিও ইনস্টিটিউটের, যেটি এখনও তৈরিই হয়নি। নভি মুম্বইয়ে জিও-র ওই ইনস্টিটিউট গড়ার কথা রয়েছে। যে ইনস্টিটিউট এখনও তৈরিই হল না, সেই প্রতিষ্ঠান কীভাবে ‘ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স’-এর আওতায় এল, এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
বিতর্ক সামাল দিতে আসরে নামতে হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে। ‘ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স’-এর তালিকায় জিও ইনস্টিটিউটের নাম থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেছে তারা। টুইটারে এ নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবিত কোনও প্রতিষ্ঠান বা নতুন কোনও প্রতিষ্ঠানকে এই তালিকায় রাখা যায়। একইসঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১১৪টি আবেদনপত্রের মধ্যে ২০টি ইনস্টিটিউটকে বাছাই করেছে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের কমিটি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আবার ১১টিকে চিহ্নিত করা হয়, যার মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে এমিনেন্স ট্যাগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, জিও পোস্টপেইড ১৯৯ বনাম এয়ারটেল ও ভোডাফোনের ৩৯৯ প্ল্যানঃ কোনটি সেরা?
জিও ইনস্টিটিউট ছাড়াও আইইএস ট্যাগ পেয়েছে আইআইটি দিল্লি, আইআইটি বম্বে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, বিআইটিএস পিলানি ও মণিপাল অ্যাকাডেমি অফ হাই এডুকেশন।