Advertisment

মায়ের আবেদনে কর্ণপাত করল না জঙ্গিরা, নিহত ১২ বছরের আতিফ

বাড়ির মেয়েকে জঙ্গির সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়াতেই নাবালককে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
J&K Child Abducted and Killed

নিহত নাবালক আতিফ মীরের মা শঈফা জান (ছবি- শোয়েব মাসুদ)

৯ ঘণ্টা বন্দি রাখার পর জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় ১২ বছরের নাবালককে গুলি করে মারল জঙ্গিরা। ওই নাবালকের কাকাকে বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হলেও, ১২ বছরের বালককে ছাড়তে রাজি হয়নি তারা। এ ব্যাপারে বারবার লাউডস্পিকারে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন-নিবেদন করা হলেও জঙ্গিরা তাতে কর্ণপাত করেনি।

Advertisment

শুক্রবার সকাল অবধি শারিফা জান আশা করেছিলেন তাঁর ১২ বছর বয়সী পুত্র আতিফ মীর বেঁচে ফিরবে। হাজিনে ততক্ষণ চলছিল সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। ২৪ ঘণ্টা পর গুলিযুদ্ধ যখন থামল, ততক্ষণে সব আশা শেষ।

আরও পড়ুন, দিল্লিতে গ্রেফতার পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রীর ঘনিষ্ঠ সজ্জদ খান

জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, লশকর-এ তৈবার দুই জঙ্গি দুজন সাধারণ নাগরিককে বন্দি করে। আতিফকে জঙ্গিরা নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে, তাকে জঙ্গিদের হাত থেকে উদ্ধার করা যায়নি। সংঘর্ষে দুই জঙ্গি মারা গেছে।

সেনাবাহিনী যখন ওই এলাকা ঘিরে ফেলেছিল, সে সময়ে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল আতিফ ও তার কাকা আব্দুল হামিদ। সে সময়েই জঙ্গিদের হাতে পড়ে যায় তারা।

আতিফের মা শরিফা জাহান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, সারা রাত আমি ওর জন্য প্রার্থনা করছিলাম। কেন ওকে কেউ খুন করবে? মাত্র ১২ বছর বয়স ওর। আমি জঙ্গিদের কাছে মিনতি করেছিলাম ওকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য়, কিন্তু ওরা ছেলেটাকে ছাড়ল না। আমার ছেলে কী করেছিল? মরে যাওয়ার পক্ষে বড্ড ছোট ছিল ও।

আরও পড়ুন, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ করায় পাক জাতীয় দিবস বয়কট ভারতের

তিন তলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে আতিফের পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া মৃতদেহ। অপারেশনের ফলে সে বাড়ি এখন প্রায় এখন প্রায় ধূলিসাৎ। পুলিশ জানিয়েছে মৃত দুই জঙ্গি আলি এবং হুবাইব দুজনেই পাকিস্তানের নাগরিক।

এলাকার মানুষের অনেকেরই বক্তব্য, অপারেশন বন্ধ করা হলে জঙ্গিরা হয়ত আতিফকে ছেড়ে দিতে পারত। মির মহল্লার আরেক বাসিন্দার কথায়, জঙ্গিরা লড়তে আর মরতেই এসেছিল। কিন্তু ওরা বাচ্চাটাকে যে কেন মারল তা বোঝা যাচ্ছে না। বাচ্চাটাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল।

এদিকে বান্দিপোরার এসএসপি রাহুল মালিকের বক্তব্য, আলি নামের জঙ্গিটা ওই পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। পরিবার এ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রতিশোধ নিতেই এই খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Read the full story in English

national news jammu and kashmir police militants
Advertisment