কাশ্মীরে আততায়ীর গুলিতে নিহত রাজ্য বিজেপি সম্পাদক ও তাঁর ভাই

সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এমন ঘটনা হওয়ায় একে প্রাথমিক ভাবে জঙ্গি হামলা বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। 

সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এমন ঘটনা হওয়ায় একে প্রাথমিক ভাবে জঙ্গি হামলা বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অনিল পারিহার

জম্মু কাশ্মীরের কিশতওয়ারে বৃহস্পতিবার রাতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হলেন রাজ্য বিজেপি সম্পাদক অনিল পারিহার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই অজিত পারিহার। নিহত হন তিনিও। উপত্যকা জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে এই দিন রাত থেকেই।

Advertisment

সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এমন ঘটনা হওয়ায় একে প্রাথমিক ভাবে জঙ্গি হামলা বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।

কাশ্মীরের প্রয়াত বিজেপি নেতা সেওয়া রাম পারিহারের পুত্র অনিল পারিহারও বেশ প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। উপত্যকার মুসলিম জনসংখ্যার মধ্যেও তাঁর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল। পারিহারদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় মানুষ ভিড় করতে থাকেন হাসপাতালে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় তাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করেছে পুলিশ।

Advertisment

আরও পড়ুন, তিন দিন পর থামল গোলাগুলি; কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত আরও দুই জঙ্গি

জম্মু কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জীব ভার্মা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী অনিল এবং অজিত পারিহার তাপাল গলি থেকে নিজেদের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির খুব কাছেই তাঁদের গুলি করা হয়। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির গুলিতে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় অনিলের। হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় অজিতেরও।

সন্ত্রাসবাদীদের হিট-লিস্টে থাকায় অনিল পারিহারকে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হত। কিন্তু হামলার সময় দুই ভাই ছাড়া সঙ্গে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না।

১৯৯০ এর দশকে রাজনৈতিক জীবনের শুরু অনিল পারিহারের। বিজেপির দোদা বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-এর ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি ছিল অনিল পারিহারের।

Read the full story in English

kashmir