Advertisment

ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন: ২৭অভিযোগ, ৩ এফআইআর

চলতি মাসের ১৪ তারিখ ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। শ্রীনগরের জেলাশাসক তাঁর বিরুদ্ধে এই ধারায় অভিযোগ আনেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Farooq Abdullah, ফারুক আবদুল্লা

ফারুক আবদুল্লা।

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে আরও কঠোরভাবে জননিরাপত্তা আইন লাগু করতে উদ্যোগী প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীরের তিনবারের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৭টি অভিযোগ ও ১৬টি পুলিশ রিপোর্ট, তিনটি এফআইআর তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে কেন্দ্র। তারপরই রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে গৃহবন্দি করা হয় ৮১ বছরের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে।

Advertisment

চলতি মাসের ১৪ তারিখ ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। শ্রীনগরের জেলাশাসক তাঁর বিরুদ্ধে এই ধারায় অভিযোগ আনেন। অভিযোগে নথিভূক্ত করা হয়েছে যে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীনগর সহ ভূস্বর্গের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তিতে উস্কানি দিতে পারেন। যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল বলে বিবেচিত।

আরও পড়ুন: মোদীর মন্তব্য ‘আগ্রাসী’, ফের কাশ্মীরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের

২০১৬ সালে হুরিয়াত কনফারেন্সকে জড়িয়ে তাঁর একটি বক্তব্য রাজ্যের তরফে উদাহরণ হিসাবে নথিবদ্ধ করা হয়। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে প্রচার করেন বলে অভিযোগ। ৩৭০ ধারা বিলোপের সময় তিনি বলেছিলেন, 'এই ধারা সাময়িক হলে, জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের চুক্তিও সাময়িক বলেই গণ্য হবে।'

সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রশাসনের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার জন্য বিছিন্নতাবাদী শক্তি হুরিয়াতের মত সংগঠনকে আন্দোলনে হাত মেলানোর কথা বলেছেন। এছাড়া, জাতীয় পতাকার ব্যবহার, পুলওয়াম ঘটনার সময় তাঁর মন্তব্য সহ নানা কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কঠীন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘আমি দেবশ্রীর আত্মীয় নই, তাহলে কেন এসেছিলেন?’

জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদু্ল্লার বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। এর জেরে দু বছর বা তার বেশি সময় পর্যন্ত আটক রাখা হতে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতাকে। ফারুক আবদুল্লার আগে জম্মু কাশ্মীরের আরেক নেতা শাহ ফয়জলকেও এই আইনে আটক করা হয়েছে। ১৯৭৮ সালের ৮ এপ্রিল জম্মুকাশ্মীর জনসুরক্ষা আইনে সিলমোহর দেন জম্মু কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল। এ আইনকে প্রায়শই ড্রাকোনিয়ান আইন বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। শেখ আবদুল্লার সরকার এ আইন লাগু করেছিল। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে এই আইন সংশোধন করা হয়। সংশোধনীর ফলে রাজ্যের বাইরেও কোনও ব্যক্তিকে এই আইনবলে আটক করা যেতে পারে। রাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী বিষয় জড়িত থাকলে এই আইনের আওতায় কোনও ব্যক্তিকে ২ বছর পর্যন্ত এবং আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয়ে যুক্ত থাকলে ১ বছর পর্যন্ত কোনও ব্যক্তিকে আটক করে রাখা যেতে পারে

ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে এই ধারা প্রয়োগ করে কাশ্মীরের অন্যসব রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও সতর্ক করল প্রশাসন। জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা।

Read the full story in English

jammu and kashmir
Advertisment